‘আমি এনসিপির সঙ্গে ছিলাম এবং থাকব। শরদ পাওয়ারই আমার নেতা। আমাদের বিজেপি-এনসিপি জোট পাঁচ বছর মহারাষ্ট্রের জনগণকে সুন্দর এবং সুস্থ সরকার দেবে।’ : অজিত পাওয়ার
মহারাষ্ট্রের রাজনীতি বারবার ঘুরে যাচ্ছে । শনিবার সাত সকালে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর অজিতের সঙ্গে শরদের সর্ম্পক ভেঙে যায় । শনিবার সন্ধ্যায় অজিত পাওয়ারকে পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বেশিরভাগ বিধায়ক শরদের সঙ্গে চলে আসেন । রবিবারও যে কয়েকজন বিধায়ক বিদ্রোহ করেছিলেন তাদের সিংহভাগ বিধায়কই শরদ পাওয়ারকে নেতা হিসাবে মেনে নেন । তাঁরা সকলেই দলে ফিরে আসেন ।
ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নয়া মাত্রা যোগ করলেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের টুইট। রবিবার বিকেলে একটি টুইট করে তিনি লেখেন ‘আমি এনসিপির সঙ্গে ছিলাম এবং পরবর্তী সময়েও থাকব। শরদ পাওয়ারই আমার নেতা। আমাদের বিজেপি-এনসিপি জোট আগামী পাঁচ বছর মহারাষ্ট্রের জনগণকে সুন্দর এবং সুস্থ সরকার দেবে।’ আর এই টুইট ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
গতকালই সাংবাদিক বৈঠকে এনসিপির তরফ থেকে অজিত পাওয়ারকে দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। সূত্রের খবর দলের এই সিদ্ধান্তে সায় দেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারও। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা পরে অজিতের এহেন টুইট ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। এই টুইটের আগেই অজিত পাওয়ার আরও একটি টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান। আর এরপরেই শরদ পাওয়ারকে ‘নিজের নেতা’ বলে টুইটকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শনিবার অমিত শাহের মাস্টারস্ট্রোকে বিপাকে পড়ে কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা তিন দলই। শনিবার সকালে কাউকে না জানিয়েই অজিত পাওয়ারকে পাশে নিয়ে শপথ নিয়ে নেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। বিজেপির সরকার গঠন অবৈধ বলে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তাঁরা। সরকার গঠনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দ্রুত সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিক দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এবং অজিত পাওয়ার। সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তাঁদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা নেই বলে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের শপথগ্রহণ বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন কংগ্রেস এবং এনসিপি।
এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি বিচারপতি এনভি রামান্না, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। মামলাকারীদের পক্ষে আদালতে সওয়াল করার কথা দুই বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও কপিল সিব্বলের। অন্য দিকে থাকবেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
এই শপথগ্রহণ অবৈধ বলে বাতিল ঘোষণা করার পাশাপাশি বিজেপিকে দ্রুত সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য দিন নির্ধারণের আর্জিও জানানো হয়েছে এই মামলায়।
অজিত পাওয়ারের এই টুইটের অর্থ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ । তিনি টুইটে বলেছেন, বিজেপি –এনসিপি সরকার আগামী ৫ বছর মহারাষ্ট্রের মানুষকে সুন্দর সরকার উপহার দেবে । বিজেপির তো বিরোধী শরদ পাওয়ার তাহলে কীভাবে এই ধরনের টুইট করছেন অজিত ? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । তাহলে কী শরদ পাওয়ারেরও প্রচ্ছন্ন মদত আছে অজিতের প্রতি , নাকি বিভ্রান্ত তৈরি লক্ষ্যেই এই ধরনের কথাবার্তা বলা হচ্ছে ।