এনসিপি দলের উপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে শরদ পাওয়ার ও তাঁর সুপ্রিয়া সুলের । বাংলার জনরব –এর এই বার্তা আবারও সত্য বলে প্রমাণিত হল । যারা দাবি করছিলেন অজিত পাওয়ারের সঙ্গে কিছু বিধায়ক আছেন , তাদের সেই দাবি ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে । আজ রবিবার ৬ জন নিখোঁজ বিধায়কও ফিরে এলেন । তারা দাবি করলেন শরদের সঙ্গেই আছেন । তবে অজিত গেরুয়া শিবিরকে আশ্বস্ত করে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড়ের জন্য সাহায্য করবেন। এমনকি ৩০ বিধায়কের সমর্থন যে তাঁর দিকে আছে, জানিয়েছিলেন সে কথাও। কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টা পেরোনোর পরে তাঁর সেই প্রতিশ্রুতিতে খুব একটা আশার আলো দেখছে না গেরুয়া শিবিরে। ফিকে হচ্ছে তাদের চওড়া হাসি। ন্যাশালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ন্যূনতম ৪৯ জন বিধায়ক ঘরেই রয়েছেন। দলীয় সূত্রে আরও খবর, অজিতের অঙ্গুলিহেলনে যাঁরা ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন তাঁরা একে একে ঘরে ফিরে এসেছেন।
শনিবার ওয়াই বি চহ্বণ সভাগৃহে দলের বৈঠক ডাকেন শরদ। তাতে প্রথমে দেখা মেলেনি ছয় বিধায়কের। যদিও এনসিপি নেতা ধনঞ্জয় মুণ্ডে কিছু ক্ষণের মধ্যে বৈঠকে এসেছিলেন। তবে খোঁজ মেলেনি অন্যদের। অনেকেই দাবি করতে থাকেন, অজিতের তত্ত্বাবধানেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন তাঁরা। খেলা ঘুরতে থাকে রবিবার সকাল থেকে। নিখোঁজ বিধায়কের তালিকায় নাম ছিল সুনীল ভূসার, দিলীপ বাঁকার, দৌলত দারোদা, নরহরি জিরোয়ার, অনিল পাতিল, নিতিন পওয়ারের। এনসিপি সূত্রে খবর, একে একে খোঁজ মিলছে ‘হারিয়ে যাওয়া’ বিধায়কদের। প্রায় সকলেই বলে দিচ্ছেন, ‘শরদ পওয়ারের সঙ্গেই আছি।’
রবিবার সকালেই সবুজ সঙ্কেত এল নিতিন পওয়ারের তরফে। দলীয় সূত্রে খবর, যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে অনিল পাটিল, বাবাসাহেব পাটিলের সঙ্গে। রবিবার দেখা মিলেছে দৌলত দারোদারও। তাঁকে খুঁজে না পেয়ে শনিবার পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়।
শনিবার সকালে যখন অজিত শপথ নিচ্ছেন, তাঁর পাশেই ছিলেন মানিকরাও কাটেকর। এখন তিনি অন্য এনসিপি নেতাদের সঙ্গে মুম্বইয়ের রেনেসাঁ হোটেলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। শনিবারই ফিরে এসছেন এনসিপি নেতা রাজেন্দ্র শিংনে। তাঁরও দাবি, শনিবার কিছু না বুঝেই তিনি রাজভবনে গিয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, যত ঘর ভরছে শরদের, ততই একা হচ্ছেন অজিত। যে দাবি নিয়ে তিনি শপথ নিয়েছিলেন, তা পূরণ করতে না পরলে একঘরে হতে হবে তাঁকে, এ কথা ভালই জানেন অজিত পওয়ার।

Find out more: