
বিজেপির জোর প্রচার, বিরোধীরা উধাও। ভোটের পর বিজেপি-শিবসেনা জোটের সরকার গঠন প্রায় নিশ্চিত হয়েও হল না। তারপরই শুরু একের পর এক ঘটনা। রাজ্যপাল ডাকলেন প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে সরকার গঠনের জন্য। কিন্তু কেউ গড়তে পারল না সরকার। অতএব রাষ্ট্রপতি শাসন জারি। রাষ্ট্রপতি শাসনের পর প্র্রত্যেক দিন ঘটনাবহুল। যখন কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা জোটের সরকার গড়ার প্রায় সব প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার মুখে ঠিক সেই সময় বিজেপির সরকার গঠন। সাত সকালে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ। আর সবচেয়ে অবাক কাণ্ড উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। ব্যাস এরপর মহারাষ্ট্রে যেন শুরু এক চরম অধ্যায়।
Submitted my resignation as Maharashtra CM to Hon Governor Bhagat Singh Koshyari ji.
— Devendra Fadnavis (@Dev_Fadnavis) November 26, 2019
Hon Governor asked me to function as caretaker CM till alternative arrangements pic.twitter.com/TI7ER3iBkv
বুধবার বিধানসভায় আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে দেবেন্দ্র ফডণবীসকে। সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেওয়ার পরেই শুরু হয় চূড়ান্ত তৎপরতা। ফডণবীসের বাড়িতে বৈঠকে বসে দলের কোর কমিটি। তার মধ্যে আবার ফডণবীসের সঙ্গে দেখা করে আসেন অজিত পওয়ারও। শক্তি প্রদর্শন করে বিরোধী কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা। বিরোধীদের দাবি সরকার পড়ে যাবে, কারণ তাঁদের কাছে রয়েছে ১৬২ বিধায়ক। তারপর উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অজিত পাওয়ার। তারপরই যেন ছবিটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। আর সেই ছবি পরিষ্কার হয়ে গেল মঙ্গলবার দুপুরেই। শপথ নেওয়ার মাত্র চার দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। আর সেই সঙ্গে মহা-নাটকের যবনিকা পতন হলো। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ইস্তফার ঘোষণা করে ফডণবীস বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের মানুষ আমাদের পক্ষেই রায় দিয়েছিলেন। বিজেপি-শিবসেনা জোটের পক্ষেই ছিল জনতার রায়। রাজ্যপাল সরকার গঠনের জন্য আমাদের ডেকেছিলেন। কিন্তু শিবসেনা আলোচনায় কোনও আগ্রহ দেখায়নি। সেই কারণেই সরকার গঠন হয়নি।’’ তিনি বলেন, অজিত পওয়ার ইস্তফা দেওয়ায় আমাদের কাছে আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। আমরা ঘোড়া কেনাবেচা করতে চাইনি। তাই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ একই সঙ্গে এ দিন ফডণবীস জানান, তাঁরা বিরোধীর ভূমিকাতেই থাকবেন। তবে একই সঙ্গে গত পাঁচ বছরে যে তাঁর নেতৃত্বে সরকার মহারাষ্ট্রে ভাল কাজ করেছে, সে কথাও এ দিন উল্লেখ করেন ফডণবীস।