শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হলেন দেবেন্দ্র ফরেণবীশ । শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন ফরেণবীশ । হেরে গেলেন মোদী-অমিত শাহরা । মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ইস্তফার ঘোষণা করে ফডণবীশ বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের মানুষ আমাদের পক্ষেই রায় দিয়েছিলেন। বিজেপি-শিবসেনা জোটের পক্ষেই ছিল জনতার রায়। রাজ্যপাল সরকার গঠনের জন্য় আমাদের ডেকেছিলেন। কিন্তু শিবসেনা আলোচনায় কোনও আগ্রহ দেখায়নি। সেই কারণেই সরকার গঠন হয়নি।’’
শনিবার রাতারাতি শিবির পাল্টে বিজেপিতে ভিড়ে যাওয়ায় অজিত পওয়ারের সমর্থনে ভর করে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়েছিলেন ফডণবীশ। কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত পওয়ার। এর পরই বিজেপি বুঝে যায় আর সংখ্যা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তার পরই ইস্তফার সিদ্ধান্ত হয়। ফডণবীশ সাংবাদিক সম্মেলনেও সে কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অজিত পওয়ার ইস্তফা দেওয়ায় আমাদের কাছে আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। আমরা ঘোড়া কেনাবেচা করতে চাইনি। তাই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ পরে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসেন ফডণবীশ।
একই সঙ্গে এ দিন ফডণবীশ জানান, তাঁরা বিরোধীর ভূমিকাতেই থাকবেন। তবে একই সঙ্গে গত পাঁচ বছরে যে তাঁর নেতৃত্বে সরকার মহারাষ্ট্রে ভাল কাজ করেছে, সে কথাও এ দিন উল্লেখ করেন ফডণবীশ।
মঙ্গলবার ফরেণবীশের পদত্যাগের পর মহারাষ্ট্রের নাটকের সমাপ্তি ঘটল মনে করছে রাজনৈতিক মহল । আসলে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক লড়াইটা ছিল মোদী-অমিত শাহ বনাম কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা । শিবসেনার অনড় মনোভাবের কারণেই মহারাষ্ট্রে পিছু হঠতে বাধ্য হলেন মোদী-অমিত শাহ । মোদী ও অমিত শাহের নির্দেশেই পদত্যাগ করলেন ফরেণবীশ ।
বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে অমিতের সব চাল বেচাল হয়ে গেছে । একই সঙ্গে বিজেপি যে স্বচ্ছ ভারত গড়ার দাবি করত তাও ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে । আসলে বিজেপি ক্ষমতার লোভে দূনীর্তির সঙ্গে যে আপোষ করতে দ্বিধা করে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।