মুখ্যমন্ত্রী কুর্সি ছাড়ার দুদিনের মধ্যে দেবেন্দ্র ফরেণবীশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী হলফনামা জমা দেওয়ার সময় তথ্য গোপনে অভিযোগে নাগপুর আদালত তলব করল । বৃহস্পতিবার যখন রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে, ঠিক সেই দিনই ফডণবীসের বাড়িতে গিয়ে আদালতের তলবপত্র দিয়ে আসে নাগপুর পুলিশ।
মহারাষ্ট্রের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৯৯৬ ও ’৯৮ সালে দু’টি ফৌজদারী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। মাস খানেক আগেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। অভিযোগ, ওই নির্বাচনে হলফনামা জমা দেওয়ার সময় ওই দু’টি অপরাধের তথ্য বেমালুম গোপন করেন ফডণবীস। তথ্য গোপন করার অপরাধে ফডণবীসের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ফৌজদারী প্রক্রিয়া চালু করা হোক, এই মর্মে স্থানীয় আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন নাগপুরেরই এক আইনজীবী সতীশ উকে। কিন্তু নিম্ন আদালত উকে-র সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। বম্বে হাইকোর্টে মামলাটি উঠলে নিম্ন আদালতের রায়কেই বহাল রাখে। মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।
গত ১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেয় সতীশের করা মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ৪ নভেম্বর আদালত জানায় এটি ফৌজদারী মামলা হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। এর পরই ফডণবীসের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে আদালত। বিচারক এস ডি মেহতা এ প্রসঙ্গে জানান, ফডণবীসের বিরুদ্ধে ১২৫এ শাস্তিযোগ্য ধারা আনা হয়েছে। সবেমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। আর তার পরই এমন ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে নাগপুরের বিধায়ক দেবেন্দ্র ফডণবীস।