সরকার গঠন করার আগে শিবসেনা দাবি করেছিলেন তাদের সঙ্গে ১৭০ বিধায়ক আছে তা খানিকটা সত্য করে আজ আস্থা ভোটে মোট ১৬৯ ভোট পেলেন উদ্ধব ঠাকরে । আস্থাভোটে বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে এই জয়ে উল্লসিত শাসক শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস । ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন এমআইএম-এর ২ জন, সিপিআইয়ের ১ জন এবং উদ্ধবের খুড়তুতো ভাই রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনার (এমএনএস) ১ জন বিধায়ক। তবে উদ্ধবের বিরুদ্ধে একটা ভোটও পড়েনি এ দিন।
দীর্ঘ টানাপড়েনের পর বৃহস্পতিবারই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন উদ্ধব ঠাকরে। আজ রাজ্য বিধানসভায় তাঁর শক্তিপরীক্ষা ছিল। স্পিকার নিয়োগ না করেই আস্থাভোট করার প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে প্রথমে ওয়াক আউট করে বিজেপি। তার পর প্রোটেম স্পিকার দিলীপ ওয়ালসে পাটিলের তদারকিতে দুপুর আড়াইটে নাগাদ আস্থাভোট শুরু হয়। তাতে ভাল ভাবেই উতরে যান উদ্ধব। আগামী পাঁচ বছর তিনিই মহারাষ্ট্রে সরকার চালাবেন।
বিজেপি নেতৃত্ব জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল ‘মহা বিকাশ আগাড়ি’ জোট। ১৭০ জনের বেশি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে এ দিন সকালেই দাবি করে তারা। জোটের তরফে যে হিসাব প্রকাশ করা হয়, তাতে বলা হয়, শিবসেনার ৫৬, এনসিপি-র ৫৪ এবং কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক ছাড়াও ৮ জন নির্দল বিধায়ক, সমাজবাদী পার্টির ২ জন বিধায়ক এবং স্বাভিমানী শেতকরি (১), বহুজন বিকাশ আগাড়ি (৩), মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা(১), পিস্যান্টস অ্যান্ড ওয়ার্কারস পার্টি অব ইন্ডিয়া(১), সিপিএম(১) মিলিয়ে মোট ১৭১ জনের সমর্থন রয়েছে উদ্ধব নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার মু্ম্বইয়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন উদ্ধব ঠাকরে। ওই দিন তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন আরও ছ’জন। তবে উপ মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এনসিপি এবং শিবসেনা থেকে মোট দু’জনকে উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলে, প্রথমে জানা গেলেও, এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে বিধানসভার স্পিকার পদের জন্য ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কংগ্রেসের নানা পাটোলে। তবে একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, দফতর বন্টন নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা হয়ে গিয়েছে তিন দলের মধ্যে। স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পরিবেশ এবং বন দফতর পেতে পারে কংগ্রেস। রাজস্ব, পূর্ত এবং শুল্ক দফতর এনসিপি-র ঝুলিতে যেতে পারে। নগরোন্নয়ন, গৃহ নির্মাণ, সেচ যেতে পারে শিবসেনার কাছে।