মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে দ্বিতীয় বার দেবেন্দ্র ফরেণবীশ মুখ্যমন্ত্রী নেপথ্যে একটা বড় ঘটনা ছিল বলে দাবি করেছেন বিজেপিরই সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত হেগড়ে ।গত ২৯ নভেম্বর সিরসি তালুকের বাঁকানালায় একটি সভায় গিয়েছিলেন উত্তর কন্নড়ের এই বিজেপি সাংসদ। সেখানে গিয়েই বিজেপির এই ‘নাটকের’ পর্দা ফাঁস করেন হেগড়ে। দলেরই এক মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
হেগড়ের দাবি, রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রের ৪০ হাজার কোটি টাকার তহবিল বাঁচাতেই তড়িঘড়ি দেবেন্দ্র ফডণবীশ মুখ্যমন্ত্রী পদের শপথ নিয়েছিলেন। ওই সভায় হেগড়ে বলেন, “আপনারা জানেন, মাত্র ৮০ ঘণ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ফডণবীশ। তার পর ইস্তফাও দিয়ে দেন। কীসের জন্য এই নাটক? জানতে পেরেছিলাম কি আমরা? সংখ্যাগরিষ্ঠ না থাকা সত্ত্বেও কেন মুখ্যমন্ত্রী হলেন ফডণবীশ?”
তার আরও দাবি, শিবসেনা–এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকার ক্ষমতায় এসে এই তহবিলের অপপ্রয়োগ করতে পারে এই আশঙ্কাটা কাজ করছিল। ফলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই সেই তহবিলকে কেন্দ্রের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ফডণবীশ। হেগড়ে বলেন, ‘‘কোনও ভাবেই যাতে ওই তহবিল নতুন সরকারের হাতে না আসে, সে জন্য বড় নাটক করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। আর সে কারণেই একটু আপসের রাস্তায় যেতে হয় দলকে।’’ তাঁর এই দাবিকে ঘিরেই ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
হেগড়ের এই দাবিকে অবশ্য সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন ফডণবীশ। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমার সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মহারাষ্ট্র সরকার কখনওই কেন্দ্রের কাছে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য টাকা চায়নি।”