সংসদে কম খরচে খাওয়ার যুগ শেষ হতে চলেছে । সাংসদ খাবারে ভূর্তুকি দিতে গিয়ে বছরে প্রায় ১৭ কোটি টাকা রাজকোষ থেকে বেরিয়ে যেত । এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আর ভর্তুকিতে খাওয়াদাওয়া করতে পারবেন না সাংসদরা। সর্বসম্মতিতেই সাংসদরা তাঁদের এই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে বলে জানা গেছে । এর ফলে, সরকারের রাজকোষে বেঁচে যাবে ১৭ কোটি টাকা।
সংসদ ভবন সূত্রের খবর, লোকসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে ভর্তুকি উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। এ ব্যাপারে তিনি অসন্তোষও প্রকাশ করেন। তখনই সাংসদরা সর্বসম্মতিতে মেনে নেন স্পিকারের প্রস্তাব।
ফলে, এখন সংসদের ক্যান্টিনে চিকেন কারি, ফিশ কারি আর মটন কারির দাম পড়বে যথাক্রমে ৫০, ৪০ এবং ৪৫ টাকায়। চিকেন কাটলেটরে প্রতি প্লেট মিলবে ৪১ টাকায়। তন্দুরি চিকেন ৬০ টাকা, ধোসা ১২ টাকা আর কফি ৫ টাকায়। হায়দরাবাদি চিকেন বিরিয়ানির দাম পড়বে ৬৫ টাকা।
বাজারের দামের চেয়ে ৮০ শতাংশ সস্তায় সংসদ ভবনের ক্যন্টিনে খাবার মিলছে বলে ২০১৫ সাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে, যখন অর্থাভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প দীর্ঘ দিন ধরে আটকে থাকছে, তখন কেন ভর্তুকিতে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে? সেখানে তো আমজনতা ঢুকতে পারেন না। যান শুধুই সাংসদ বা তাঁদের পরিচিতরা।