হায়দরাবাদ কাণ্ডে ধর্ষণে অভিযুক্ত চার জনকে এনকাউন্টারের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মেয়ো রোডে মমতার বার্তা, নারীদের উপর যে কোনও ধরনের অত্যাচার যেমন তিনি সহ্য করেন না, তেমনই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াকেও সমর্থন করেন না। একই সঙ্গে পুলিশের প্রতি নির্দেশ, এই ধরনের ঘটনায় সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘এটা আইন নয়, যে আইনকে আমি নিজের হাতে তুলে নিলাম। আইন এটাই, পুলিশ তার কাজ করবে, আদালতে পেশ করবে। বিচারক বিচারকের কাজ করবেন।’’ পুলিশের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে দ্রুত চার্জশিট দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব। তিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে। কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে।’’ পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ উঠলেও সরকার যে কড়া হাতে তার মোকাবিলা করবে, সেই বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য চার অভিযুক্তকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ে যাওয়া হয় সামসাবাদে ৪৪ নন্বর জাতীয় স়ড়কের কাছে আন্ডার পাসে। ওই জায়গায়তেই ধর্ষিতা চিকিৎসকের দগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জোগাড় করতেই শুক্রবার ভোররাতে অভিযুক্তদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, সেখান থেকেই পালানোর চেষ্টা করে তারা। তেলঙ্গানার আইনমন্ত্রী এ ইন্দ্রকরণ রেড্ডি জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্তরা পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তদের’।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর তেলঙ্গানায় শামশাবাদের আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের নীচে উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের পোড়া দেহ। আগের দিন অর্থাৎ ২৭ নভেম্বর হায়দরাবাদ শহর ৫০ কিলোমিটার দূরে শামশাবাদে টোল প্লাজার কাছে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের কাছে দেহটিতে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনারর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সাইবারাবাদ পুলিশ। মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০) নামে এই চার জনই ট্রাকের কর্মী। এ দিনের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে এই চার অভিযুক্তেরই।