২০০৪ সালে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি হয়। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে সেটাই শেষ ফাঁসির ঘটনা। ওই ফাঁসি দিয়েছিলেন মহাদেবের বাবা নাটা। আর বাবার সহকারীর ভূমিকায় ছিলেন ছেলে মহাদেব। মহাদেব মল্লিক। বয়স, ৫৪। পেশা, কলকাতা পুরসভার সাফাইকর্মী। তারও আগে আরও দু’টি ফাঁসিতে বাবার সঙ্গে হাত লাগিয়েছিলেন তিনি। এ বার যখন দিল্লির নির্ভয়া -কাণ্ডের অপরাধীদের ফাঁসি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে, তখন মহাদেব চাইছেন সেই ঘটনার শরিক হতে। নির্ভয়া-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের নিজের হাতেই ফাঁসি দিতে চাইছেন তিনি। কিন্তু এই বয়সে এসে সে কাজ করা কী সম্ভব? মহাদেবের পাল্টা দাবি, ‘‘আমি তো শারীরিক ভাবে একেবারেই সুস্থ।’’
নির্ভয়া-কাণ্ডের অপরাধীদের ফাঁসির নির্দেশ যে কোনও দিন কার্যকর হতে পারে বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বিহারের বক্সার জেলের সুপারের একটি মন্তব্য। সোমবার ওই সুপার জানিয়েছেন যে, তাঁর জেল ফাঁসি দেওয়ার ১০টা বিশেষ দড়ির বরাত পেয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সেগুলি দিতে বলা হয়েছে। জেল সুপার যদিও জানাননি, কী কারণে দরকার ওই দড়ি। তবে ওই জেল সূত্রে খবর, নির্ভয়া কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসির জন্যই চলছে চূড়ান্ত তৎপরতা।
এ রাজ্যে পেশাদার ফাঁসুড়ে হিসাবে রয়েছেন মহাদেব। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘আমি সেই ১৯৯১ সাল থেকে বাবার সহকারী হিসেবে কাজ করেছি। একা কোনও কাজ করিনি। কিন্তু সুযোগ পেলে আমি তিহাড় যেতে চাই।’’ মহাদেব মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘১৯৯১ সালেই একসঙ্গে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসি হয়েছিল কার্তিক শীল এবং সুকুমার বর্মণের। আমি বাবার সঙ্গে ছিলাম। দড়ি তৈরি করা থেকে শুরু করে ট্রায়াল দেওয়া— সব করা হয়েছিল। এর পর ২০০৪ সালে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি।’’