নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আগামী কাল রাজ্যসভায় পেশ হতে চলেছে বলে খবর পাওয়া গেছে । তবে রাজ্যসভায় কী আদৌ এই বিল পাশ করতে পারবেন অমিত শাহ সেটাই এখন দেখার । লোকসভায় সমর্থন জানালেও রাজ্যসভায় এই বিলের পক্ষে তাঁর দল ভোট দেবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করার ইঙ্গিত দিলেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। মঙ্গলবার উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন, এই বিলের কিছু বিষয় স্পষ্ট না হলে নরেন্দ্র মোদী সরকারের দিকে তাঁরা সমর্থনের হাত বাড়াবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবেন।
সোমবার মধ্যরাতে লোকসভায় ভোটাভুটিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)-কে সমর্থন করেছে এনডিএ সরকারের এক কালের শরিক শিবসেনা। তবে ২৪ ঘণ্টাও কাটতে না কাটতেই সম্পূর্ণ বিপরীত সুর শোনা গিয়েছে দলীয় প্রধান উদ্ধবের মুখে। এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদ্ধব বলেন, ‘‘আমরা এই বিল নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছি। রাজ্যসভায় পেশের আগে তা নিয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা না পেলে আমরা বিলে সমর্থন করব না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এটা বিজেপির বিভ্রম হতে পারে যে তাদের সঙ্গে যাঁরা সহমত পোষণ করেন না, তাঁরাই দেশদ্রোহী।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটাও একটা বিভ্রম যে একমাত্র বিজেপিই দেশের জন্য ভাবে।’’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, লোকসভায় এই বিল পেশের সময় নিয়েও শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিলের আড়ালে বিজেপি আসলে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে, এমন অভিযোগ করেছে শিবসেনা। এমনকি, এই বিল যে দেশের স্বার্থবিরোধী, তা-ও দাবি করা হয়েছে ওই সম্পাদকীয়তে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘ভারতে তো এখন সমস্যার কোনও অভাব নেই। তা সত্ত্বেও আমরা নতুন করে সিএবি-র মতো ঝামেলা টেনে আনছি। মনে হচ্ছে, এই বিলের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় সরকার হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে একটা অদৃশ্য দেওয়াল তুলে দিয়েছে।’
তবে রাজ্যসভায় এই বিল পেশ হলে শেষমেশ শিবসেনা এর পক্ষে ভোট দেবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছে উদ্ধবের দল। দলের লোকসভা সাংসদ অরবিন্দ সবন্ত বলেন, ‘‘আমাদের সকলের আলাদা আলাদা ভূমিকা হয় কি? রাষ্ট্রের হিতের জন্য শিবসেনা সব সময়ই একপায়ে খাড়া। এতে তো কারও একার রাজত্ব নেই!’’