রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব সঙ্কটে। এই প্রসঙ্গে ইমরান সরকারকে তুলধুনা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের (সিএসডব্লিউ) রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শাসকদল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কার্যকলাপ সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব সঙ্কটের জন্য দায়ী। রিপোর্টে উল্লেখ, ‘‘পাকিস্তানে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। বিশেষ করে মহিলাদের অবস্থা সব চেয়ে খারাপ।’’ 

‘আক্রমণের মুখে পাকিস্তানের ধর্মীয় স্বাধীনতা’ শীর্ষক সিএসডব্লিউয়ের রিপোর্টটি চলতি মাসেই প্রকাশিত হয়েছে। তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, পাকিস্তানে নৈরাজ্য এবং হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে। নানা ধরনের ধর্মীয় এবং আহমেদিয়া বিরোধী আইন প্রয়োগ করে সংখ্যালঘুদের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কার্যত একঘরে করা হচ্ছে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তানে প্রতি বছর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের অপহরণ করা হচ্ছে। জোর করে ধর্ম বদল করিয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ মেয়েই আর নিজের পরিবারে ফিরতে পারছে না। মূলত পুলিশ প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব, দুর্বল বিচার ব্যবস্থা এবং প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণের জন্যই এমন ঘটনা ঘটছে।’’ সিএসডব্লিউ আরও বলেছে, পঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে ১৮ বছরের কম বয়সি সংখ্যালঘু মেয়েদের বারবার অপহরণ এবং জোর করে বিয়ের ঘটনা ঘটছে কারণ, তারা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির অংশ। রিপোর্টে বেশ কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের কার্যত দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

 

২০১৯ সালের মে মাসে রমেশ কুমার মাহি নামক এক সার্জেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি কোরানের একটি পাতায় মুড়ে ওষুধ বিক্রি করেছেন। তাঁর দোকান-সহ আশেপাশের হিন্দুদের দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে কমিশন জানিয়েছে, তিন দশকের বেশি সময় ধরে, পাকিস্তানে শরিয়তি আইন ব্যবহার করে চরমপন্থাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। নষ্ট করা হচ্ছে সৌহার্দ্যের আবহ। অনেক সময়েই দেখা হচ্ছে, মিথ্যে মামলা দেওয়া হচ্ছে অমুসলিমদের নামে, আইন হাতে তুলে নিচ্ছে উন্মত্ত জনতা, যার ফল মারাত্মক।

 

Find out more: