আবার মোদী-শাহ এবং বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের সভায় মমতা বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন , ‘‘বিজেপি ওয়াসিং মেশিন মাদুলি। বিজেপি করলে ভাল, না করলে কালো। বিজেপি করলে পেলে, না করলে গেলে অথবা জেলে। এটা রাজনীতি হচ্ছে!’’ সম্প্রতি অমিত শাহ সংবাদ মাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অমিত শাহ বলেছেন , ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় । এই প্রসঙ্গে মমতা অমিত শাহকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন , ‘‘আধার কার্ড করতে বলেছিল ক’দিন আগে। আধার এখন অন্ধকারে চলে গিয়েছে!’’। এদিন মুখ্যমন্ত্রী রানি রাসমণি রোডে সভা শুরু করেন কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে ।
এ প্রসঙ্গে ফের মোদীর পোশাক-মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘পোশাক দেখে চেনা যায় ? ঘণ্টা দেখেও চেনা যায়। চেনো আমায়? মাঙ্গলিক ঘণ্টা বাজাচ্ছি। এর কত মানে হয়। বুঝে নাও। কেউ বলবে বিদায় ঘণ্টা, কেউ বলবে বিসর্জনের ঘণ্টা। কোনওদিন শাঁখ বাজাব, কোনওদিন ঘণ্টা বাজাব, কোনওদিন বাউল গান হবে’’।
এরপরেই মমতা চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন ,‘‘বুকের পাটা থাকলে গণভোটে এগিয়ে আসুন। আপনারা নয়, রাষ্ট্রসংঘ করবে’’।বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের সভায় মমতা বলেন, ‘‘বুকের পাটা থাকলে একটা ভোট হোক। সারা দেশে গণভোট হোক সিএএ ও এনআরসি নিয়ে। আপনারা (মোদী সরকার) করবেন না, রাষ্ট্রসংঘ করবে। রাষ্ট্রসংঘ, মানবাধিকার কমিশন, আর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি হোক। আমরা চাই, তারা ভারতবর্ষে গণভোট করুক। দেখা যাক এই আইন কতজন মানছেন আর কতজন মানছেন না। যদি না মানেন, তাহলে বলুন ইস্তফা দিতে বাধ্য হবেন। আগুন নিয়ে খেলবেন না’’।
সিএএ-এনআরসি-র প্রতিবাদ জানাতে দেশের সকলকে একত্রিত হয়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘সারাদেশের সবাইকে বলছি। সবাই রাস্তায় নামুন। কখনও রাস্তায় নামতে হয়। ভুলে যান রাজনৈতিক দলের নাম কী, ভুলে যান সম্প্রদায়ের নাম কী, সকলে একত্রিত হয়ে নামুন’’।