যাঁরা অভিযোগ করছিলেন ঠাণ্ডা পড়ছে না, শীতের দেখা নেই তাঁরা এখন খুশির মেজাজে। পৌষের দ্বিতীয় দিন থেকেই রাজ্যে হাজির হয়েছে শীত। হিমেল হাওয়ায় রাজ্যে শীত পড়েছে জাঁকিয়ে। আলমারি থেকে শুধু শীতের পোশাকই নয়, লেপ - কম্বলও বের করা হয়েগিয়েছে। শুধু কি তাই শীত পড়তেই উইকেন্ড ফ্যামিলি পিকনিক থেকে শুরু করে গেট টুগেদারও চালু হয়েছে। জাঁকিয়ে শীত পড়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা। বিক্রি বেড়েছে শীতবস্ত্রের। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও জমছে ভিড়। একেবারে শীতের আমেজ বলতে যা বোঝায় তা একেবারে পরিপূর্ণ।
কিন্তু এই মনোরম আবহাওয়া থাকবে কতদিন ? এখন থেকেই চিন্তায় রাজ্যবাসী। তবে সুখবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। এখনই আলমারি থেকে বের করা শীতের পোশাক আর লেপ - কম্বল তুলে রাখতে হবে না। এবার শীতের ইনিংস লম্বাই হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্তে একটি ঘূর্নাবর্ত অবস্থান করছে। যার জেরে জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায়। আর তা ঘনীভূত হচ্ছে কুয়াশায়। ফলে গত দুদিন ধরে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে রাতের তাপমাত্রা নিম্নমুখী। পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। কলকাতায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা নেই। তবে আগামী ক'দিন শহর কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে কনকনে ঠাণ্ডা। একইসঙ্গে শিলিগুড়ির তাপমাত্রাও নিম্নমুখী। ঘন কুয়াশার জেরে এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীনিকেতনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। রাঁচি ও গয়ায় তাপমাত্রা পাঁচ-ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে।