রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে ফাটল যখন ক্রমশই চওড়া হচ্ছিল, সেই সময় স্বস্তির হাওয়া। রাজ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি প্রসঙ্গ নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই চিঠির ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে জবাব পেয়ে এককথায় উচ্ছ্বসিত রাজ্যপাল। টুইট করে তিনি লেখেন, “Efforts to ensure improvement in education scenario seem to be bearing results. To my communication of December 25, CM has responded on Dec 26 that Minister-in-Charge Education will discuss all the issues. I look forward to this. In democracy we have to move in togetherness.” অর্থাৎ চিঠির জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এটি শিক্ষা দফতরের বিষয়। রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে নির্দেশ দেন তিনি। তারপরই রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া, গণতন্ত্রে এভাবেই একসঙ্গে চলতে চাই আমরা।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের টানাপোড়েন তুঙ্গে ওঠে। রাজ্যপালের নাম না করে একাধিক বার নিশানা দাগিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ রাজ্যপালেরও।
অন্যদিকে, গত ২৫ ডিসেম্বর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন উপলক্ষে রাজভবনে তাঁর প্রতিকৃতি উন্মোচনে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। অনুষ্ঠানে আসা তো দূর, চিঠির উত্তর দেননি বলে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপালের ক্ষোভ, প্রশাসনের কোনও প্রতিনিধিকেও পাঠানো হয়নি রাজভবনে।
ছবি - ফাইল ছবি