হাইকোর্টের নির্দেশে 24 ঘন্টার মধ্যে ফের অনাস্থা ভোটাভুটি করতে হবে নির্দেশ পেয়ে জেলাশাসক এর তরফ থেকে সোমবার নোটিশ জারি করা হয়।চেয়ারম্যান সৌরভ সিং নোটিশ জারি না করায় জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী পুরসভায় এসে রাতের বেলাতেই নোটিশ জারি করেন। চিঠি দেওয়া হয় সমস্ত কাউন্সিলর কে। সেইমত আজ মঙ্গলবার বেলা একটায় জেলাশাসক,ব্যারাকপুরের এসডিওসহ একাধিক আধিকারিক উপস্থিত হয়ে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। আজকের বৈঠকেও বিজেপির কোন কাউন্সিলর উপস্থিত না থাকায় আগের মতই ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মত ১৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলার বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভোট দেয় এবং ফের ১৯-০ ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ভাটপাড়া পুরসভায় অনাস্থা ভোটে জয়ী হয়।জয়ের পরই শাসকদলের নেতা কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। সবুজ আবির উড়িয়ে ও মিস্টিমুখ করিয়ে চলে উৎসব। তবে কে হবেন পরবর্তী পুরপ্রধান সেটা দলই ঠিক করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। যদিও এদিনই বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং। তৃণমূলের তরফেও শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে গেলেও ফল একই হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই আস্থা ভোট ডাকার নির্দেশ দিয়েছে পুরপ্রধানকে। বৈঠকে কী হল তা মুখবন্ধ খামে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে জমা দিতে হবে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে। এর আগে ২ জানুয়ারি অনাস্থা ভোটে তৃণমূল ১৯-০ ভোটে জয়ী হয়। সেইদিনই হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপি কাউন্সিলররা। বিচারপতি অরিন্দম সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ সেই বৈঠকের নোটিশ খারিজ করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হওয়া ওই অনাস্থা বৈঠক খারিজ করে দেয়। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে তৃণমূল।
এদিন অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে ভাটপাড়া পৌরসভা 300 গজ পর্যন্ত 144 ধারা জারি করা হয় এমনকি সাংবাদিকদের পর্যন্ত ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা নিজে উপস্থিত থেকে নিরাপত্তা দেখভাল করেন।জানা গিয়েছে আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী 9 তারিখ মহামান্য আদালত মারফৎ ফলাফল ঘোষনা হবে।