লখনউ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওপেন চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অমিত শাহ। সেই সঙ্গে সিএএ যে হবেই সে কথা স্পষ্ট করে দেন। আর অমিত শাহের এই চ্যালেঞ্জের পাল্টা ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বিজেপি গড় থেকে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে তিনি এদিন বলেন, ‘‘আমাদের ভোট নিয়ে এখন প্রধানমন্ত্রী আমাদেরই তাড়াতে চাইছেন। আজ আমাদের কি আবার স্বাধীনতার কথা বলতে হবে? এখন বিজেপির মনে হল, নাগরিকত্ব আইন চালু করতে হবে?’’ পাহাড়বাসীকে আশ্বাস দেওয়ার সুরে তিনি বলেন, ‘‘সবাইকে বলছি, ভয় পাবেন না। আমরা পাশে আছি। সিএএ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। এক জন গোর্খাকেও আমরা তাড়াতে দেব না।’’ এর পরই অমিত শাহের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বড় বড় কথা বলছেন। আমাদের পাকিস্তানি বলে দাগিয়ে দিচ্ছেন। অথচ, সকালে এক কথা বলছেন, আর বিকেলে আর এক। আমাদের গালাগালি দিলে হবে না। আমরা যদি মিথ্যে বলি, তা হলে সত্যিটা কী আপনি বলুন?’’ এ দিন সিএএ-এর সূত্র ধরেই এ দিন পাহাড় থেকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর) প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছেন তিনি।
সিএএ-কে বিভাজনমূলক আইন বলে ব্যাখ্যা করে মমতার বক্তব্য, ‘‘এর জন্য ফের লড়তে হলে লড়ব। কিন্তু, দেশ ভাগ হতে দেব না। এক জন গোর্খাকেও আমরা এখান থেকে তাড়াতে দেব না।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘দেশের অর্থনীতি বেহাল। দেশে কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। আর এ সব ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতেই বিজেপি এ সব করছে।’’ বিজেপি দেশ জুড়ে ঘৃণার রাজনীতি চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা। বলেন, ‘‘বিজেপির কাজ গুলি করা, মানুষ মারা ও আগুন জ্বালানো।’’ দেশ ভাগ করতে বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে বলেও তাঁর অভিযোগ।