করোনা ত্রাসে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ভারতও এই ত্রাসের বাইরে নেই। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনো পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৯।পুরো দেশে জারি হয়েছে লকডাউন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে এত কিছুর পরের সাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা কোন যুক্তি মানতে নারাজ।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে সব ‘ডোমেস্টিক ফ্লাইট’ বা অভ্যন্তরীণ উড়ান বন্ধ করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমান মন্ত্রক সোমবার বিকেলে জানিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত দেশের সব অভ্যন্তরীণ যাত্রী-বিমান বন্ধ থাকছে। তবে পণ্যবাহী বিমান চলবে।
অবশেষে কোন উপায় না দেখে করোনা সতর্কতায় দিল্লিতে কারফিউ জারি করা হল। দিল্লি পুলিশের উদ্যোগে খালি করে দেওয়া হল শাহিনবাগের সিএএ বিরোধী বিক্ষোভস্থলটিও। ৩ মাস একটানা বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার পর বাধ্যত শাহিনবাগ খালি করলেন বিরোধীরা।
এদিন সকালে দিল্লি পুলিশের এক বিরাট বাহিনী শাহিনবাগে পৌঁছয়। প্রতিবাদীরা উঠতে না চাইলে ধস্তাধস্তিও চলে। বুলডোজার দিয়ে শাহিনবাগের আখড়াটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
দিল্লি পুলিশের দক্ষিণ পূর্ব শাখার ডিসিপি বলেন, শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের বিনীত ভাবে অনুরোধ করা হয় প্রতিবাদ মঞ্চ ছেড়ে দিতে। কিন্তু কোনও কথা শুনতেই রাজি হননি তাঁরা। এর পরেই আইনলঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরিষ্কার করা হয়েছে বিক্ষোভস্থল। আটক করা হয়েছে কয়েকজন সিএএ বিরোধীকে।