
এখনও পর্যন্ত এক দিনে আক্রান্ত হওয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যা এ রাজ্যে। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪। সেই সঙ্গে রোগমুক্ত হয়ে বাড়িও ফিরছেন আরও ৭ জন। সোমবার বিকেল পর্যন্ত সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৫ বলে এ দিন নবান্নে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনায় মৃতের সংখ্যা একই রয়েছে, অর্থাৎ ১২। তিনি বলেন, ‘‘র্যাপিড টেস্ট একটি স্ক্রিনিং টেস্ট। এই পদ্ধতিতে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয় এবং সেখান থেকে প্রাথমিক একটি ধারণা পাওয়া যায় যে, কারও শরীরে ভাইরাস হানা দিয়েছে কি না।’’
অন্যদিকে, ২১ দিন লকডাউনের পর ফের দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউন বেড়ে হয়েছে ৩ মে পর্যন্ত। তবে এই ঘোষণার পরই করোনা মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। দেশ জুড়ে ১৭০টি করোনা হটস্পট বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। যার মধ্যে এ রাজ্যে রয়েছে ৪টি জেলা। আবার নন হটস্পট ২০৭টি জেলাও চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। যার মধ্যে এ রাজ্যে রয়েছে ৮টি জেলা। কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনাকেও ‘হটস্পট’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। আর নন হটস্পট জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এছাড়া দেশের ৬টি মেট্রো শহরকে করোনা হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কলকাতা ছাড়াও ‘হটস্পট’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু হায়দরাবাদ, চেন্নাই, জয়পুর ও আগ্রাকে।