বাংলায় করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ১৮। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। কয়েক দিন আগেই তিনি বলেন, "কিট নেই। কেন্দ্র কিট তুলে নিয়েছে। ২ রকম কিটই তুলে নিয়েছে। কিট দিতে পারছে না কেন্দ্র। মাত্র ২৫০০ কিট দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কিট আসছে না। এহেন পরিস্থিতিতে আপনারাই বুঝে নিন। সময় মতো ঠেকাতে না পারলে বিপদ আছে।" রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৩-এ। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৩৮৫। তবে মৃতের সংখ্যা একই রয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য। শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে হয়েছে ৪২৩। মৃতের সংখ্যা ১৮-ই রয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১০৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
তবে আগামী ২৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ১০টায় ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার পর এই নিয়ে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পর্যালোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৩ মে দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তা আরও বাড়ানো হবে কি না অথবা উঠে গেলে পরবর্তী পরিস্থিতি কী ভাবে সামলানো হবে, তা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। প্রসঙ্গত, ২১ দিন লকডাউনের পর ফের দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউন বেড়ে হয়েছে ৩ মে পর্যন্ত। তবে এই ঘোষণার পরই করোনা মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। দেশ জুড়ে ১৭০টি করোনা হটস্পট বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। যার মধ্যে এ রাজ্যে রয়েছে ৪টি জেলা। আবার নন হটস্পট ২০৭টি জেলাও চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। যার মধ্যে এ রাজ্যে রয়েছে ৮টি জেলা। কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনাকেও ‘হটস্পট’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। আর নন হটস্পট জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এছাড়া দেশের ৬টি মেট্রো শহরকে করোনা হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কলকাতা ছাড়াও ‘হটস্পট’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু হায়দরাবাদ, চেন্নাই, জয়পুর ও আগ্রাকে।