ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তবে সোমবার থেকে লকডাউনে কিছু পরিবর্তন আসছে। আর বুধবার নবান্ন থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। "শুধু করোনা নিয়ে থাকলে তো চলবে না, শিশুদের টিকাকরণ ও অন্যান্য যে বিষয়গুলো রয়েছে, সেগুলোও দেখতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বলছি, আপনারা অন্য কোনও রোগীকে দয়া করে ফিরিয়ে দেবেন না।" এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলির উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর রেড জোনে রয়েছে। রাজ্যের তরফে এই জেলাগুলির বেশ কিছু জায়গাকে ‘কনটেন্টমেন্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রেড জোনে কী ভাবে নিয়ম কার্যকর হবে, সচিব পর্যায়ে বৈঠক এবং পুলিশ-প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
গ্রিন জোনের জেলাগুলোতে বাস চলবে বলেও এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেইবাস কোনও ভাবেই জেলার বাইরে যেতে পারবে না। পরিবহণ দফতরের অনুমোদন আছে যে সমস্ত বাসমালিকের, তাঁরা ওই সব জেলায় বাস চালাতে পারবেন। তবে ওই বাসে ২০ জনের বেশি উঠতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, গ্রিন জোনেও সেলুন এখনই খুলছে না। মু্খ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে গ্রিন জোনে থাকা জেলাগুলিতে। পাড়ার ছোট দোকানগুলি খোলা যাবে। তবে মার্কেট কমপ্লেক্স অথবা ফুটপাতের দোকান খোলা যাবে না। গ্রিন জোনে পরিস্থিতি খারাপ হলে, সিদ্ধান্ত বদল হতে পারে যে কোনও সময়ে।”