
এক লাফে রাজ্যে রেড জোনের সংখ্যা বেড়ে গেল। কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধিত তালিকায় রাজ্যে আরও ৬ জেলা যুক্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে ৪ থেকে ১০ জেলা হলো রাজ্যের। করোনা-পরিস্থিতিতে রাজ্যে পুরভোট আপাতত স্থগিত। বৃহস্পতিবারই শেষ হতে চলেছে কলকাতা পুরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ। কী করবে রাজ্য সরকার, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। নবান্ন সূত্রের খবর, পুর-পরিষেবা সচল রাখতে প্রশাসকই নিয়োগ করা হবে। তবে অর্ডিন্যান্স জারি করে নয়, আইনের সংস্থানেই মেয়াদ-উত্তীর্ণ হতে চলা কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানো হতে পারে আগামী শুক্রবার। আর মঙ্গলবার সেই বিষয়টি সরকারিভাবে জানিয়ে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বয়ং।
কে হবেন প্রশাসক? বর্তমান মেয়র অবশ্য বলেছেন, 'প্রশাসক কে হবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে।' যদিও রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পুরসভার বর্তমান মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেই প্রশাসকের আসনে বসাতে চান।
অন্যদিকে, কেন্দ্রের নয়া তালিকা অনুযায়ী গোটা দেশে ১৩০ টি জেলা রেড জোনে, ২৮৪ টি অরেঞ্জ জোনে এবং ৩১৯ টি গ্রিন জোন ভুক্ত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রীতি সুদানের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে কেন্দ্র সংক্রমণের হার, কতদিনে সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে, কতজন ব্যক্তি সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসছেন, তা পর্যালোচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আগেই কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরকে রেড জোন হিসাবে ঘোষণা করেছিল। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদহ জেলাও। অরেঞ্জ জোনের মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই বর্ধমান এবং হুগলি। বাকি আট জেলা গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত।