বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই অতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে বলে জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার ছিল। কলকাতায় সেই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর জেরে লন্ডভন্ড পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের অবস্থাও ভয়াবহ। হাজার হাজার কাঁচাবাড়ি এবং গাছপালা ভাঙার খবর আসছে এই সব জেলা থেকে। তবে বাস্তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এর অনেক গুণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিভিন্ন এলাকাকে তিন ভাগে ভাগ করছে রাজ্য। বুথভিত্তিক ভাবে এই ভাগ করা হয়েছে। কন্টেনমেন্ট জোনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত, অ্যাফেক্টেড জোন, দ্বিতীয়ত, বাফার জোন ও তৃতীয়ত ক্লিন জোন। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
• খেলা চলবে, তবে জমায়েত নয়, বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
• ২৭ মে থেকে অটো চলবে। তবে দু’জন করে যাত্রী থাকবে। ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
• বেসরকারি বাসও চালাতে অনুরোধ করব। বেসরকারি বাসমালিকদের অনুরোধ মমতার।
• বিভিন্ন জেলার মধ্যে সরকারি বাস চালানোর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
• সামাজিক দূরত্ব মেনে হোটেল খুলবে, ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
• এক দিন অন্তর সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
• ২৭ মে-র পর থেকে জোড়-বিজোড় নীতি মেনে খুলবে হকার্স মার্কেট, বললেন মমতা।
• ২১ মে থেকে সব বড় দোকান খুলবে।
• কন্টেনমেন্ট এলাকা ছাড়া সব এলাকায় বড় দোকান খুলবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
• সাধারণ মানুষকে বলব, নিজেরা নিজেদের যত্ন নিন, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে জন সাধারণকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
• করোনা সামলাতে কেন্দ্রের থেকে আমরা কিছুই পাইনি। মানুষের বিরুদ্ধে আমরা কোনও পদক্ষেপ নেব না। আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
• রাজ্যের সামনে এই মুহূর্তে তিনটি জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রথম হচ্ছে করোনা। দ্বিতীয়ত পরিযায়ী শ্রমিক। তৃতীয়ত আমপান ঝড়। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।