প্রায় ৯০ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকার পর কিছুটা স্বস্তি। শহরে ফিরছে বিদ্যুৎ। তবে সব এলাকাতেই পুরোপুরি আসেনি। রবিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা খানিকটা হলেও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায়। রবিবার বিকেলে শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে সিইএসসি। তবে এখনও কিছু কিছু অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয় নি বলে স্বীকার করেছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। সেখানে কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে।

 

গত শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে নামে। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সওয়া ১১টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী রওনা দেন আমপান-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। দুই ২৪ পরগনার দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এ দিন কিন্তু অনেকটা সময় ব্যয় করেছেন মোদী। তাঁকে নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার কপ্টার একটানা প্রায় ঘণ্টা দেড়েক উড়েছে সুন্দরবন আর আবাদ অঞ্চলের আকাশে। পরে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, গোসাবা, কুলতলি, ভাঙড়-সহ বিভিন্ন এলাকা এবং উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট, মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, বসিরহাট আকাশপথে ঘুরে দেখেছেন মোদী। বসিরহাট কলেজে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকও খুব সংক্ষিপ্ত ছিল না। একপাশে মুখ্যমন্ত্রী এবং আর এক পাশে রাজ্যপালকে নিয়ে মিনিট চল্লিশেক রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে মুখোমুখি আলেচনা সারেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরে জানান যে, এই ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার জন্য পশ্চিমবঙ্গকে আপাতত ১ হাজার কোটি টাকার ‘অগ্রিম সহায়তা’ দেওয়া হচ্ছে।

Find out more: