ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আক্রান্তের সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সুস্থতার হার বাড়লেও সংক্রমণের হার কিন্তু বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন কত জন রোগীর করোনা টেস্ট করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে কত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হয় পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। বৃহস্পতিবার এই সংক্রমণের হার ছিল ১২.৮, শুক্রবার ছিল ১৪.৩, শনিবার ১৬.৩ এবং রবিবার তা বেড়ে হয়েছে ১৬.৯। এই চিত্র থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, টেস্ট হওয়া মানুষের মধ্যে সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ছে। শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব দাবি করেছিলেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। যদিও সংক্রমণের হার বৃদ্ধি নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১,৩৪৪ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন মোট ২৪,৮৮৩। রাজ্যে সুস্থতার হার ৫৮.৫৬ শতাংশ। ১৯ জুলাই অনুযায়ী রাজ্য়ে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৬,৪৯২ জন। এখনও পর্যন্ত করোনার মোট ৬,৮৯,৮১৩ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৩,৪৪৭টি নতুন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। যদিও শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যবাসীকে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। জানিয়েছেন "রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে কিন্তু আতঙ্কিত হবেন না। কোভিডের থেকেও বেশি গতিতে আমরা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বাড়াচ্ছি।" উল্লেখ্য পরিস্থিতির অবনতির কারণে ইতিমধ্যেই কড়া লকডাউন ঘোষণা হয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। বাড়ানো হয়েছে মেয়াদও। এই প্রতিবেদনের ছবি সংগৃহীত।