চোপড়ায় মাধ্যমিক উত্তীর্ণকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চোপড়া। এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। ঘটনার তদন্ত দাবি করে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। একটি সরকারি বাসে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। পরিবারের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কিশোরীকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই কিশোরীর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় সে। রবিবার সকালে বাড়ির কাছেই উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। পাশে মেলে সাইকেল, ছাতা ও আধার কার্ড।
কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে বিষক্রিয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে তার। দেহে আঘাত বা যৌন হেনস্থারও কোনও চিহ্ন মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই এমনটা জানিয়েছে পুলিশ। তারা আরও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি ওই কিশোরীর পরিবার।
চোপড়ার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চতুরাগছ এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বাড়ি থেকে জোর করে বছর পনেরোর ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় এক দুষ্কৃতী। বাড়ির পাশেই একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়। সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা কিশোরীকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর পাঠান। ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।