এ বারের বাজেটে নজর ছিল আয়কর ছাড়ের দিকে। অর্থনীতিবিদদের একটা বড় অংশের মত ছিল, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে হলে আয়করে ছাড় দিতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রে যে রাজকোষে টান পড়ার প্রবল আশঙ্কা থাকত, তা-ও স্বীকার করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবারের বাজেটে দেখা গেল রাজকোষে আর চাপ না বাড়ানোর সিদ্ধান্তই নিলেন অর্থমন্ত্রী। ছাড় পেলেন শুধু ৭৫ বছরের বেশি বয়সিরা। যাঁদের আয়ের একমাত্র সূত্র পেনশন বা জমা সঞ্চয় থেকে পাওয়া সুদ, তাঁদের আয়কর রিটার্ন জমা করতে হবে না। কর সংক্রান্ত আর যা যা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী—

শেয়ার ডিভিডেন্ট থেকে আর কর কাটা হবে না।
ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলির জন্য কর ছাড় দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। প্রত্যক্ষ কর কাঠামোয় ধারাবাহিক সংস্কার করার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী।
আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে করদাতাদের যাতে কোনও রকম জটিলতায় না পড়তে হয়, তার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তৈরি করা হবে।
দেরিতে ইপিএফ জমা দেওয়া ঠেকাতে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ।
গুরতর কর ফাঁকি দেওয়ার ঘটনায় ফের তদন্তের জন্য লাগবে চিফ কমিশনারের অনুমোদন।
জিএসটি আদায় সরল করা হবে।

অন্যদিকে, বাজেট প্রস্তাবে পেট্রোল-ডিজেলে কৃষি সেস বসানোর কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটি পণ্যের উপরেও বসছে কৃষি সেস। সোমবার বাজেট বক্তৃতায় তিনি জানান, পেট্রোলে লিটার প্রতি আড়াই টাকা এবং ডিজেলে লিটার প্রতি চার টাকা ‘কৃষি পরিকাঠামো ও উন্নয়ন সেস’ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্মলা বলেন, ‘‘দেশ জুড়ে কৃষি পরিকাঠামোর উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই সেস ধার্য করা হয়েছে।’’ তবে এর ফলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘পেট্রোল-ডিজেলের উপর লিটার প্রতি সাধারণ উৎপাদন শুল্ক এবং বিশেষ অতিরিক্ত উৎপাদন শুল্ক কমানোর প্রস্তাবের ফলে সামগ্রিক ভাবে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।’’ সামগ্রিক ভাবে পেট্রোপণ্যের উপর অতিরিক্ত কর চাপানোর কোনও প্রস্তাব নেই বলেও জানান তিনি।

Find out more: