কারচুপির অভিযোগ তুলে তদন্তের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নাম না করে নিশানা করেছিলেন দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী, সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee)। চুপ করে থাকেননি তিনি, মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন জনসভায়। বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে এবার তদন্তে অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। মমতার অভিযোগের দিনই রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে কড়া জবাব দিয়েছিলেন রাজীব। রাজ্য মন্ত্রিসভার তদন্তের সিদ্ধান্ত শুনে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তদন্ত হোক। তবে সেটা যেন নিরপেক্ষ হয় এবং প্রতিহিংসামূলক না হয়।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘শুধু বন দফতর নয়। রাজ্য সরকার অন্য যত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করেছে তারও তদন্ত হোক।’’

তৃণমূলের সঙ্গে রাজীবের দূরত্ব অনেক আগে থেকেই তৈরি হচ্ছিল। দলের তরফে তাঁর মানভঞ্জনের চেষ্টাও হয়েছে অনেক। এর পরেও ধাপে ধাপে মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক ও তৃণমূলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন রাজীব। এর পর ৩০ জানুয়ারি দিল্লিতে অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে পদ্মশিবিরে যোগ দেন। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলেও দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে একবারও মুখ খোলেননি রাজীব। বিধায়ক পদ ছাড়ার পরে মমতার ছবি নিয়ে বিধানসভা ভবন থেকে বার হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে মমতা-রাজীব সম্পর্ক যে আর আগের মতো নেই, তা সামনে এসে যায় ৩ ফেব্রুয়ারি। বিধায়ক পদ ছাড়ার পরে মমতার ছবি নিয়ে বিধানসভা ভবন থেকে বার হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে মমতা-রাজীব সম্পর্ক যে আর আগের মতো নেই, তা সামনে এসে যায় ৩ ফেব্রুয়ারি। 

Find out more: