বিধানসভা নির্বাচনের আগে শনিবার রাজ্যে পা রেখেছেন তিনি। সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের আগে হেলিপ্যাড ময়দানে দলের জনসভায় যোগ দেন। সেখানে শুধু তৃণমূল নয় বাম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানান তিনি। আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মোদী বলেন, ‘‘গোপন বন্ধুত্ব থেকে সাবধান থাকুক। পর্দার আড়ালে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা চলছে। দিল্লিতে একসঙ্গে বসে রণকৌশল তৈরি করেন এঁরা। কেরলে তো বাম-কংগ্রেসের সমঝোতাই রয়েছে, যে ৫ বছর তোমরা লুঠপাট চালাও, ৫ বছর আমরা চালাব। এখানেও সেই ষড়যন্ত্রে চলছে। এদের সমর্থনে ভোট নষ্ট করলে ধোঁকাবাজির শিকার হবেন আপনারা।’’

ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজ্য সরকার কৃষকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সকলে প্রাপ্য সুবিধা পাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দিল্লির উপকণ্ঠে দু’মাসের বেশি সময় ধরে চলে আসা কৃষক আন্দোলন ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়।, তিনি বলেন, ‘‘ভারতকে বদনাম করতে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতের ভাবমূর্তি নষ্টের পরিকল্পনা চলছে। যাঁরা মা-মাটি-মানুষের কথা বলেন ভারতমাতাকে নিয়ে কোনও আবেগ নেই তাঁদের। তাই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে দিদির মুখ থেকে একটি কথাও বেরোয় না।’’ ২০১১- পরিবর্তনের আশায় বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় এনেছিলেন। কিন্তু ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি দিলেও অপশাসন এবং অত্যাচার চালানো ছাড়া দরিদ্র মানুষের জন্য তাঁর সরকার কোনও কাজ করেনি বলেও অভিযোগ করেন মোদী। ২০২১-এ বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বাংলায় সঠিক অর্থে পরিবর্তন আসবে বলে দাবি করেন তিনি।

Find out more: