আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়নি, কিন্তু তার আগেই শনিবার সকালে দুর্গাপুরে ১২ কোম্পানি বাহিনী পৌঁছে যায়। সেখান থেকে কলকাতা, বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে আধা সেনা।

এ বার করোনা পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের নির্বাচন হতে চলেছে। সে কারণে বাড়তি সতর্কতাও রয়েছে। শনিবার বীরভূমের নলহাটির কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প থেকে রুট মার্চ করেন জওয়ানরা। এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়নি। বিকেলের দিকে কলকাতা স্টেশনে ৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছয়। বীরভূমে, বাঁকুড়া, বর্ধমানে ১ কোম্পানি করে বাহিনী চলে গিয়েছে। অন্য দিকে, ডানকুনি স্টেশনে ৫ কোম্পানি জওয়ান আসে। সেখান থেকে ভাগ হয়ে তাঁরা দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, দুই মেদিনীপুরে পৌঁছে গিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচন কমিশন কেন বিজ্ঞপ্তি জারি করছে না? আধা সেনাতে আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য কি বিজ্ঞপ্তিতে দেরি হচ্ছে? যাতে উনি বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন। সরকারি পয়সায় ব্রিগেডে অনুষ্ঠান করতে পারেন?” কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সবাই যেন ভোট দিতে পারে, সেটাই চাই। তাই সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে। ১৩০ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। তৃণমূল ভোটে রিগিং করতে পারে। সেই জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে ছিলাম।”

Find out more: