সোমবার কলকাতার হেস্টিংসে রাজ্য বিজেপি-র প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য-সহ মোট ৪ জন তৃণমূল বিধায়ক পদ্মশিবিরে যোগ দেন। ২০০১ সাল থেকে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ। সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখও ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মন্ত্রীও করা হয় তাঁকে। তবে ইদানীং দলের সঙ্গে অনেকটাই ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছে তাঁর। দ্বিতীয় দফার তৃণমূল সরকারে তিনি আর মন্ত্রিত্ব পাননি। সেই তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ, বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, হাওড়ার সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার এবং হাওড়ার শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ি। সেই সঙ্গে সোমবার বিজেপি-তে যোগ দেন মালদহের সরলা মুর্মু। প্রসঙ্গত তৃণমূল সরলাকে মালদহের হবিবপুরে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু তারপরেই আসন পছন্দ না হওয়ায় তিনি বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। সেটা জেনেই সোমবার তাঁকে সরিয়ে হবিবপুরে প্রদীপ বাস্কেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সরলাকে সরানোর কারণ হিসাবে তাঁর ‘শারীরিক অসুস্থতা’র কারণ দেখানো হয়েছে।

সরলা মালদহ জেলা পরিষদেরও সদস্য। সোমবার সরলা ছাড়াও আরও ১৪ জন মালদহ জেলাপরিষদ তৃণমূলের সদস্য বিজেপি-তে এলেন। তার মধ্যে রয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। এর ফলে সংখ্যার হিসেবে মালদহ জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সোমবার সকলের হাতে বিজেপি-র পতাকা তুলে দেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Find out more: