ভোটের প্রচারে গিয়ে নন্দীগ্রামে পায়ে গুরুতর চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন,'ভিড় ছিল। ৪-৫ জন মিলে ধাক্কাধাক্কি করেছে। স্থানীয় পুলিস ছিল না। পুলিস সুপারও ছিল না। জেনেবুঝেই এটা করেছে।' গোটা ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। সেখানে কী ঘটেছে ও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে 'সিমপ্যাথি পলিটিক্স' বলে অভিহিত করেছেন বিজেপি নেতারা। ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার যে অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা নির্বাচনী গিমিক ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপকতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এবং মমতাকে এক আসনে বসিয়ে অধীর বলেন, ‘‘দু’জনেই নাটক করতে অভ্যস্ত।’’

মমতা ‘জেড প্লাস’ ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পান। বস্তুত, ওই ঘটনার পর মমতার নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই দেহরক্ষী এবং রাজ্য সরকারের এসএসইউ-এর (স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট) সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও। ওই নিরাপত্তারক্ষীরা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁকে চার-পাঁচ জন যুবক এসে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল বা সকলের সামনে গাড়ির দরজার ঘায়ে তাঁর পা জখম করল (এমনই অভিযোগ করেছেন মমতা), তা নিয়ে প্রত্যাশা মতোই কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসাররা এবং রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের মতে, যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সড় গাফিলতি দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে অবিলম্বে যাঁরা তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ওই ইউনিটের প্রধান এখন আইপিএস অফিসার বিবেক সহায়। তাঁর আগে ওই পদে ছিলেন বিনীত গোয়েল। এবং তাঁরও আগে বীরেন্দ্র। ঘটনাচক্রে, যিনি মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের ডিজি ছিলেন। নির্বাচন কমিশন যাঁকে মঙ্গলবার রাতে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।

Find out more: