মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন। শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দিলেও শিশির এবং দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। তাঁরা দু’জনেই সাংসদ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এরপর তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন কাজ করেছি। উনি আহত হয়েছেন শুনে ভীষণ খারাপ লাগছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন বলছেন কোনও ষড়যন্ত্র হয়েছে, তবে তার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত এবং অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাঁদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।’’

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে আহত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন তিনি। ভোটের প্রচারে গিয়ে নন্দীগ্রামে পায়ে গুরুতর চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি দাবি করেছেন,'ভিড় ছিল। ৪-৫ জন মিলে ধাক্কাধাক্কি করেছে। স্থানীয় পুলিস ছিল না। পুলিস সুপারও ছিল না। জেনেবুঝেই এটা করেছে।'  গোটা ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। সেখানে কী ঘটেছে ও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে 'সিমপ্যাথি পলিটিক্স' বলে অভিহিত করেছেন বিজেপি নেতারা। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংঘর্ষ করেছেন, এটা অনস্বীকার্য। ক্ষমতায় আসার পর নন্দীগ্রামকে দেখেননি। শিল্পায়ন হয়নি। কৃষিতে উন্নয়ন হয়নি। নন্দীগ্রাম বঞ্চিত থেকেছে। শুভেন্দু অধিকারী সেখানকার ভূমিপুত্র। ওখানে মমতা হারবেন। বুঝতে পেরেছেন, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আসলে সহানুভূতি ছাড়া উনি জিততে পারবেন না। বাংলার কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীর তাঁর উপরে আঘাত করার হিম্মত নেই।'

Find out more: