১) যাঁরা আমার কর্মী-ভাইবোন আছেন, তাঁদের বলছি, গতকাল আমার খুব জোর চোট লেগেছিল। পায়ে চোট আছে। লিগামেন্টেও চোট লেগেছে। মাথায় এবং বুকে খুব ব্যথাও হয়েছে। খুব বড় চোট লেগেছে।
২) গাড়ির বনেটের উপরে দাঁড়িয়ে সকলকে নমস্কার করছিলাম। তখন এমন জোরে চাপ আসে, গাড়ির দরজাটা আমার পায়ের উপর চেপে যায়।
৩) আমার কাছে যে ওষুধগুলো ছিল সেগুলো খেয়ে কলকাতার দিকে রওনা হই। ডাক্তারদের চিকিৎসাতেই আছি।
৪) আমি অনুরোধ করব সকলের কাছে, শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন, ভাল থাকুন। এমন কিছু করবেন না যাতে মানুষের কোনও অসুবিধা হয়।
৫) আশা করি আমি আবার দু’তিন দিনের মধ্যেই নিজের ফিল্ডে ফিরে যেতে পারব। তবে হয়তো পায়ের সমস্যা থাকবে। কিন্তু আমি ম্যানেজ করে নেব।
৬) আমার মিটিং কিছুই আমি নষ্ট করব না। হয়তো কিছু দিন আমাকে হুইল চেয়ারে ঘুরতে হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে আহত হন মমতা। সেখান থেকে তাঁকে সরাসরি কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। রাতে তাঁর পায়ে প্রাথমিক ভাবে প্লাস্টার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর গোড়ালিতে ব্যথা রয়েছে। তাঁর হাড়ে চোট লেগেছে। পাশাপাশি শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কম রয়েছে।