শীতলকুচির ঘটনায় দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা চলছেই। বনগাঁ দক্ষিণের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, 'ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ৪ জনকে গুলি করে মেরে দিয়েছে দিল্লির পুলিস। আর একজনকে সকালে মেরেছে। মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমার ৫টা ভাইকে মেরে দিয়ে বলছে গ্রামবাসীরা নাকি বন্দুক কাড়তে এসেছিল! লজ্জা করে না। গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত বিজেপির। মানুষ খুনের রক্ত দিয়ে বড় বড় কথা বলে।'

প্রসঙ্গত, শনিবার কোচবিহারের শীতলকুচিতে জোড়পাটকির একটি বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় দেশের সর্বত্র নিন্দা শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ও বাদুড়িয়ার সভা থেকে তা নিয়ে মুখ খোলেন মমতাও। তিনি বলেন, ‘‘আমি বরাবর বলে আসছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী আমার শত্রু নয়। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় যে চক্রান্ত চলছে, তা আজ প্রমাণ হয়ে গেল। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের গুলি করে মেরে দেওয়া হয়েছে।’’

আত্মরক্ষার জন্যই শীতলকুচিতে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিআইএসএফ) গুলি চালাতে বাধ্য হয় বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আত্মরক্ষার জন্যই শীতলকুচিতে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিআইএসএফ) গুলি চালাতে বাধ্য হয় বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতৃত্ব যদিও মমতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। কোচবিহারের সভায় তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরার পরামর্শ না দিলে, মানুষ উত্তেজিত হতেন না আর গুলিও চলত না বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

Find out more: