প্রসঙ্গত, রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে বিধান পরিষদ গঠনের পথে হাঁটতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার দলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার দিনই তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন কারণে যাঁদের প্রার্থী করা গেল না, আগামী দিনে বিধান পরিষদ গঠন করে সেখানে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেই কথা অনুযায়ী, আগামী দিনে বিধান পরিষদ গঠনের পথে হাঁটতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিষয়টি পুরোপুরি মুখ্যমন্ত্রীর বিবেচনাধীন হওয়ায় এই ব্যাপারে তৃণমূলের পরিষদীয় নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তবে বিধান পরিষদ কী ? সে বিষয়ে একটু খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক -
১) সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার ধাঁচে তৈরি বিধান পরিষদেও বিধানসভার মতোই ‘নির্বাচিত’ হতে হয়। রাজ্য আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট বা এক কক্ষবিশিষ্ট হতে পারে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার উচ্চকক্ষের নাম বিধান পরিষদ এবং নিম্ন কক্ষ বিধানসভা।
২) বিধান পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর। প্রতি ৬ বছর অন্তর বিধান পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রতি ২ বছর অন্তর বিধান পরিষদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করে থাকেন।ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার কোনও অবস্থাতেই তা ৪০-এর কমও হবে না।
৩) অর্থবিল ছাড়া যে কোন বিল বিধান পরিষদে উত্থাপন করা যায়। বিধানসভায় পাশ হওয়া কোনো বিলকে বিধান পরিষদ সর্বাধিক ৪ মাস পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে।
৪) সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যের মন্ত্রীসভা শুধুমাত্র নিম্নকক্ষ অর্থাৎ বিধানসভার কাছেই দায়বদ্ধ। ফলে শাসন সংক্রান্তও তেমন ক্ষমতা নেই বিধান পরিষদের।