রাজ্যে ইতিমধ্যেই কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) আরও ৭৫ হাজার ডোজ। শনিবার (১৫ মে, ২০২১) সকাল আটটা নাগাদ হায়দ্রাবাদ থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে ভ্যাকসিন নিয়ে নামে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। সেখান থেকে বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কোভ্যাক্সিন। গোটা প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধানে ছিলেন এ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তবে নীতি আয়োগের সদস্য চিকিৎসক ভিকে পাল জানাচ্ছেন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আটটি ভ্যাকসিন থাকবে ভারতের হাতে। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলাই নয়, এই ভ্যাকসিনই তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য লড়াইয়ের অস্ত্র হয়ে উঠতে চলেছে আগামী দিনে। আপাতত হাতে রয়েছে ভারতে তৈরি দুটি ভ্যাকসিন-কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন।
সেগুলি কী কী একবার দেখে নেওয়া যাক -
১) কোভ্যাকসিন (COVAXIN) : কোভ্যাকসিন-ভারত বায়োটেক, ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর উদ্যোগে তৈরি কোভ্যকসিন দেশে ইতিমধ্যেই দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ট্রায়াল রিপোর্ট বলছে, এই কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৭৮ শতাংশ।
২) বায়ো ই সাব ইউনিট ভ্যাকসিন (BIO E SUB UNIT VACCINE) : হায়দরাবাদের ফার্মা সংস্থা বায়োলজিকাল-ই তাদের ভ্যাকসিন BECOV2A এর জন্য জরুরিকালীন ছাড়পত্র পেয়েছে। অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ কোটি বায়োলজিক্যাল ই- উৎপাদন করার কথা।
৩) জাইডাস ক্ল্যাডিলা (ZYDUS CADILA DNA VACCINE) : আমেদাবাদের এই সংস্থাটি একটি ডিএনএ-ভ্যাকসিন তৈরি করছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই ভ্যাকসিনের ৫ কোটি ডোজ তৈরি করা যাবে।
৪) নোভোভ্যাক্স (NOVAVAX) : মার্কিন এই ভ্যাকসিনটির উৎপাদক সিরাম ইন্সটিটিউট। NVX-CoV2373 বা কোভোভ্যাক্স প্রোটিন সাবইউনিট থেকে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়। ডিসেম্বরের মধ্যেকোটি এই ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থা দুটির।
৫) স্পুটনিক ভি (SPUTNIK V) : রাশিয়ান সরকারের তৈরিএই ভ্যাকসিনটির দুটি ডোজ ৯১.৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে রোগীর দেহে। ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে ১৫.৬ কোটি স্পুটনিক ভি তৈরি হবে।
৬) কোভিশিল্ড (COVISHIELD) : অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রজেনেকা ও অক্সফোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট। অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৫ কোটির বেশি ডোজ তৈরির করার পরিকল্পনা রয়েছে।
৭) জেনোভা (GENNOVA mRNA VACCINE) : পুনের জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যল, এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে। এটি mRNA ভ্যাকসিন।
৮) ইন্ট্রানাসাল (INTRANASAL) : ভারত বায়োটেকের প্রস্তাব একটি এমন ভ্যাকসিন তৈরি করার যা নাসারন্ধ্র দিয়ে প্রবেশ করানো যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি এই ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে।
Find out more: