শনিবার রাতে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিল ঘূর্ণিঝড় ‘তকতে’। পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে সেটি। মঙ্গলবার গুজরাটের উপকূলে ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিমি গতিবেগে আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাস। সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমিতেও। দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১২ কিমি গতিবেগে আরও উত্তরে অগ্রসর হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ গোয়া থেকে মাত্র ২২০ কিমি দূরে, মুম্বই থেকে ৫৯০ কিমি দূরে ও গুজরাটের উপকূল থেকে ৮২০ কিমি দূরে অবস্থান করছিল।

প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘তকতে’-র দাপটে কর্নাটকে মৃত্যু হল ৪ জনের। ঝড়ের দাপটে ৭৩টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলেও জানিয়েছে কর্নাটক প্রশাসন। যে ছ’টি জেলায় ঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে তিনটি উপকূলবর্তী ও তিনটি পশ্চিমঘাট পর্বত সংলগ্ন। শনিবার রাতে কেরলেও ঝড়ের প্রভাবে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।রবিবার বেলা বাড়তেই গোয়ায় ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব বেড়েছে। উপড়ে গিয়েছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। গোয়ার একটা বড় অংশে ঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু রাস্তা।উল্লেখ্য, শনিবার এ নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীও। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার রাজ্যগুলির প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ নেন মোদী। বিপদ রয়েছে এমন জায়গা থেকে মানুষজনকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে আসার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় 'তৌকতাই'-এর কারণে কেরলে অতি ভারী বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি, উপড়ে গিয়েছে একাধিক গাছ। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে কেরলের নয় জেলাতেও।

Find out more: