মঙ্গলবার দুপুরে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হল নারদ মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে বলে খবর। উডবার্নের ১০২ নম্বর কেবিনে বিশেষ মেডিক্যাল টিমের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। সুব্রতর আগে মঙ্গলবার ভোররাতেই এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়েছিল নারদ মামলার আরও দুই অভিযুক্ত শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রকে। তাঁদের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৪ এবং ১০৩ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে। সুব্রতকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। তার আগে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদও একবার তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে খবর।

অন্যদিকে, নারদ মামলায় (Narada Case) সিবিআই (CBI)-এর হাতে গ্রেফতার পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)-সহ, মন্ত্রী সুব্রত মখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টাপাধ্যায় (Shovon Chatterjee)। সোমবার রাতে পুলিশি প্রহরায় তাঁদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলযাত্রার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ফিরহাদ হাকিম। বিজেপিকে তোপ দেগে পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “কলকাতার মানুষকে আমায় বাঁচাতে দিল না।” রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ চার হেভিওয়েটকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজাম প্যালেস থেকে বের হওয়ার সময় ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যই কলকাতা কর্পোরেশনের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে নিয়োগই করা হয়েছিল। শ্মশানে যাতে মরদেহ ঠিক করে পোড়ানো হয়, ভ্যাকসিনেশন ঠিক করে হয়, টেস্টিং ঠিক করে হয়, স্যানিটাইজশন ঠিক করে হয়, সেজন্য আমাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কলকাতার মানুষকে আমায় বাঁচাতে দিন না।”

Find out more: