ভবানীপুর বিধানসভা আসনের বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পদত্যাগ পত্র তুলে দেন। ভাবনীপুর আসন থেকে উপনির্বাচনে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পদত্যাগের পরে শোভনদেব বলেন, ‘‘দলনেত্রীকে আসন ছেড়ে দিতেই তিনি ইস্তফা দিলেন।’’ শোভনদেব (Sovandeb Chattopadhyay) এ দিন বলেন,''মুখ্যমন্ত্রীকে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর কেন্দ্র থেকে আমি জিতেছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাাধ্যায়ের থাকাটা আমাদের ও দলের অস্তিত্বের প্রশ্ন। সেই প্রশ্নটা যখন এসেছে আমি ঠিক করলাম, আমি পদত্যাগ করি। উনি দাঁড়ান জিতুন ও মুখ্যমন্ত্রী থাকুন।'' আপনি কি রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন? শোভনদেবের (Sovandeb Chattopadhyay) কথায়,''রাজ্যসভা নিয়ে এখনই বলতে পারব না। নির্ভর করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে। আমার কী ব্যবস্থা হবে উনি ঠিক করে দেবেন। এখনও মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বলেননি। আইনত করতে বললে করব। দলের নির্দেশ আমি সঙ্গে সঙ্গে মেনে নিয়েছি।''
তৃণমূলের অনেক পুরনো সৈনিক শোভনদেব। তিনিই দলের প্রথম বিধায়ক। একদা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন শোভনদেব। তৃণমূল গঠনের পর ১৯৯৮ সালে বারুইপুরের বিধায়ক পদ ছেড়ে রাসবিহারী উপ নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হন। কংগ্রেস বিধায়ক হৈমী বসুর মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। শোভনদেবের সেই উপ নির্বাচনে জয়েই প্রথম বিধানসভায় প্রবেশ তৃণমূলের। কংগ্রেস বিধায়ক হৈমী বসুর মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। শোভনদেবের সেই উপ নির্বাচনে জয়েই প্রথম বিধানসভায় প্রবেশ তৃণমূলের।
Find out more: