বুধবার সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া বইছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায়। সঙ্গে বৃষ্টি। যার জেরে একাধিক নদীবাঁধ উপচে জল ঢুকছে গ্রামগুলিকে। সেই সঙ্গে পূর্ণিমার ভরা কোটাল জলস্তরকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যার জেরে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবনের একাধিক এলাকা। বাঁধ ভাঙার জেরে সাগরের ধসপাড়া-সুমতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। একই ভাবে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে কসতলা, কচুবেড়িয়া, মহিষামারি এলাকা। হোগলা নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বাসন্তীর লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা। একই অবস্থা কুলতলি বিধানসভার বিভিন্ন এলাকার। সেখানকার ৭/৮ জায়গায় বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ভরাকোটালের কারণে আজ সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছবে জলের স্তর। যার ফলে ১১.৩৭ থেকে ১২ টার মধ্যে কলকাতা, হাওড়া ও হগলির একাধিক জায়গায় টর্নেডোর আশঙ্কা থাকছে। এর ক্ষমতা কতটা হতে পারে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এলাকা ভিত্তিক ক্ষমতার তারতম্য ঘটবে টর্নেডোর। উল্লেখ্য, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের কবলের বাইরে কলকাতা। তবে পরিস্থিতি যা রয়েছে, তাতে ১২০ থেকে ৩০ কিমি বেগে টর্নেডো তৈরি হতে পারে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভরাকোটালের কারণে যে জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, চাঁদিপুর, জুনপুট, বাঁকিপুট সহ সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় তা গত ৫০ বছরেও দেখা যায়নি বলে জানা যাচ্ছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভরাকোটালের কারণে যে জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, চাঁদিপুর, জুনপুট, বাঁকিপুট সহ সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় তা গত ৫০ বছরেও দেখা যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।
Find out more: