শুক্রবার সাগরের বৈঠকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বারবার তিনি একটাই বার্তা দেন, কোনও মানুষ যেন কোনও রকম অভিযোগ না করতে পারেন সে ভাবেই কাজ করতে হবে। কারা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য, তা যথাযথ ভাবে খতিয়ে দেখে তারপরই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও রকম ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ তিনি এবার সহ্য করবেন না বলে কড়া বার্তা দেন। মমতা বলেন, "৩ জুন থেকে ১৮ জুন গ্রামে-গ্রাম, ব্লকে-ব্লকে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প চলবে। এটা সরকারি অফইসাররা করবেন। দুয়ারে সরকারের মতো এখানেও ক্ষতিগ্রস্তরা এসে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা জমা দেবেন। এরপর ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন প্রতিটি অভিযোগ সার্ভে করে দেখা হবে। এরপর ১ জুলাই থেকে সরাসরি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে দুয়ারে ত্রাণ"।
মুখ্যমন্ত্রী যা জানালেন-
* ফসলের ক্ষতি হলে মিলবে ১,০০০ – ২,৫০০ টাকা।
* ঝড় বা জলোচ্ছ্বাসে বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেলে মিলবে ২০,০০০ টাকা।
* বাড়ির আংশিক ক্ষতি হলে মিলবে ৫,০০০ টাকা।
* গরু বা মহিষ মারা গেলে মিলবে ৩০,০০০ টাকা।
* ছোট গবাদি পশু মারা গেলে মিলবে ৩,০০০ টাকা।
* বলদ মারা গেলে মিলবে ২৫,০০০ টাকা। বাছুর মারা গেলে মিলবে ১৬,০০০ টাকা।
* পানের বরজ ভাঙলে ৫,০০০ টাকা।
* মৎস্যজীবীদের জাল ছিঁড়লে ১,৬০০ টাকা।
* নৌকা ভেঙে গেলে ১০,০০০ টাকা। আংশিক ক্ষতি হলে ৫,০০০ টাকা।
* কুটির শিল্পের যন্ত্র নষ্ট হলে ৪,১০০ টাকা। কাঁচামাল কেনার জন্য ৪,১০০ টাকা।
* গুদাম বা কারখানা নষ্ট হলে ১০,০০০ টাকা মিলবে।
Find out more: