'জামাই ষষ্ঠী' একটি লোকায়ত প্রথা। ষষ্ঠীদেবীর পার্বণ থেকে এই প্রথার উদ্ভব। বৈদিক যুগ থেকেই জামাইষষ্ঠী পালন হয়ে আসছে। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্ল ষষ্ঠী তিথিতে ষষ্ঠী দেবীর পূজার মধ্যে দিয়ে এই ব্রত পালন করা হয়। বিবাহিত মেয়ে এবং জামাইকে নিমন্ত্রণ করে আপ্যায়ন করা এই ব্রতের রীতি। আদরের কন্যার সুখী দাম্পত্য জীবন কামনার উদ্দেশ্যে পালন করা হয় জামাই ষষ্ঠী। মহিলারা তাদের জামাইয়ের কপালে মা ষষ্ঠীর ফোঁটা এবং হাতে হলুদ মাখানো বা হলুদ সুতো বেঁধে মেয়ে জামাইয়ের কল্যাণ কামনা করেন।

তবে কথিত রয়েছে, একবার এক গৃহবধূ স্বামীর ঘরে নিজে মাছ চুরি করে খেয়ে দোষ দিয়েছিলেন বিড়ালের উপর। ফলে তাঁর সন্তান হারিয়ে যায়। তাঁর পাপের ফলেই এই ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হয়। তখন সেই মহিলা বনে গিয়ে ষষ্ঠীদেবীর আরাধনা শুরু করেন৷ দেবী তুষ্ট হন৷ ফলে বনেই তিনি নিজের সন্তানকে ফিরে পান। এই জন্যই ষষ্ঠীদেবীর অপর নাম অরণ্যষষ্ঠী। এদিকে মাছ চুরি করে খাওয়ার জন্য শ্বশুর-শাশুড়ি ওই বধূর পিতৃগৃহে যাওয়া বন্ধ করে দেন। এই অবস্থায় মেয়েকে দেখার জন্য ব্যাকুল মা-বাবা একবার ষষ্ঠীপুজোর দিন জামাইকে সাদরে নিমন্ত্রণ জানান। জামাইষষ্ঠী পুজোর দিনে সস্ত্রীক উপস্থিত হলে আনন্দের বন্যা বয়ে যায় বাড়িতে।ষষ্ঠীপুজো রূপান্তরিত হয় জামাইষষ্ঠীতে। বাঙালি হিন্দুসমাজে এ উৎসবের সামাজিক গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ষষ্ঠীপুজো রূপান্তরিত হয় জামাইষষ্ঠীতে। বাঙালি হিন্দুসমাজে এ উৎসবের সামাজিক গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

Find out more: