কসবার এক কোভিড প্রতিষেধক শিবিরে যোগ দিতে গিয়ে প্রতারণার সম্মুখীন হয়েছেন অভিনেত্রী, সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এদিন সকালেই কসবা এলাকা থেকে ভুয়ো IAS পরিচয় দেওয়া এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপরই প্রকাশ্যে আসে যে এই প্রতারকের খপ্পরে পড়েছিলেন সাংসদও। মিমি চক্রবর্তীর কথায়, "মঙ্গলবার কসবার একটি ভ্যাকসিনেসন ড্রাইভ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আমাকে। তৃতীয় লিঙ্গের কিছু মানুষ, রূপান্তরকামী, বিশেষভাবে সক্ষম কিছু মানুষ ও দুঃস্থদের ভ্যাকসিনেশনের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। আমি টিকা নিলে তারা যদি আগ্রহী হয় সেই ভাবনা থেকে সেখানে যাওয়া।" কিন্তু এরপর টিকা নেওয়ার কোনও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং সার্টিফিকেট কোনও কিছুই না আসায় সন্দেহ হয় অভিনেত্রীর। তিনি বলেন, "আমার লোকেরা সেখানে গেলে বলা হয় তিনদিনের মধ্যে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যে যাদের যাদের টিকাকরণ হয়েছে তাদের নামই রেজিস্টার করা হয়নি। এরপরই পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তাদের সাহায্যে গ্রেফতার করাই।"

অভিযুক্ত দেবাঞ্জন নিজেকে আইএএস অফিসার এবং কলকাতা পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার হিসেবে ভুয়ো পরিচয় দেন। প্রচার করেন, কলকাতা পুরসভা এই শিবিরের আয়োজক। কসবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, গত ১০ দিন ধরে স্থানীয় ইউকো ব্যাঙ্ক বিল্ডিংয়ের দ্বিতলে ওই শিবির তৈরি করে চালাচ্ছিলেন তিনি। তদন্তের স্বার্থে প্রশাসন ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে দেবাঞ্জনের ভুয়ো পরিচয়পত্র, কলকাতা পুরসভার নকল শিলমোহর, কাগজপত্র, অভিযুক্তের ব্যবহৃত টয়োটা গাড়ি। জানা গিয়েছে, নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন রাখতে গাড়িটিতে নীল বাতি, পতাকাও ব্যবহার করতেন দেবাঞ্জন।


Find out more: