কসবায় ভুয়ো টিকা কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে গোটা রাজ্যে। এই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেব। ভুয়ো টিকা কাণ্ড নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলেও শুক্রবার জানিয়েছেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘গত ২-৩ সপ্তাহ ধরে দেবাঞ্জন গাড়ি গাড়ি করে লোক নিয়ে এসে টিকা দিয়েছেন। সেই কর্মসূচিতে কোথাও দেখা গিয়েছে শাসকদলের সাংসদ গিয়ে টিকা নিচ্ছেন। কোথাও দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী নেতারা এই প্রতারককে দিনের পর দিন সঙ্গ দিয়েছে। এটা নিয়ে একটা বড় এজেন্সির তদন্তের প্রয়োজন। প্রয়োজনে সিবিআইকে দিয়েও তদন্ত করানো উচিত।’’
অন্যদিকে, ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯৭৫ সালে আজকের দিনে দেশজুড়ে জারি করা সেই জরুরি অবস্থা নিয়ে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার একটি টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'জরুরি অবস্থার কালো দিনগুলো ভোলার নয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির ধ্বংসলীলার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। আসুন সবরকমভাবে দেশের দেশের গণতান্ত্রিক চেতনাকে মজবুত করি। সংবিধানের মূল্যবোধগুলো মেনে চলি।' উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। নির্বাচনে অসদুপায় অবলম্বনের জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে ৬ বছরের জন্য সংসদ থেকে বহিষ্কার করে। তার পরেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন ইন্দিরা। তার পর থেকে টানা ২ বছর বহু বিরোধী নেতাকে জেলে কাটাতে হয়। আঘাত আসে সংবাদমাধ্যমের উপরেও। আজ ছিল সেই জরুরি অবস্থা জারির ৪৬তম বার্ষিকী।
Find out more: