গত বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। করোনা পরবর্তী জটিলতায় ভুগছিলেন কৃষ্ণা। কলকাতা থেকে কিছুদিন আগে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ চেন্নাইয়ের ওই হাসপাতালেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। শেষ সময়ে কৃষ্ণার পাশে ছিলেন ছেলে শুভ্রাংশু রায়। করোনা আক্রান্ত হন মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়। করোনা সংক্রমণ কেটে গেলও ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। অতি সংকটজনক অবস্থায় কলকাতার ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাঁকে একমো সাপোর্টে রাখা হয়। এরপর ফুসফুল প্রতিস্থাপনের জন্য কৃষ্ণা রায়কে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।এরপর ফুসফুল প্রতিস্থাপনের জন্য কৃষ্ণা রায়কে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হল।
মুকুল অবশ্য কলকাতাতেই আছেন। তিনি চেন্নাইয়ে যাচ্ছেন না। মায়ের মরদেহ নিয়ে কলকাতায় ফিরবেন শুভ্রাংশুই। বুধবার তাঁর শহরে ফেরার কথা। দীর্ঘ দিন ধরেই করোনা সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন কৃষ্ণা। ১১ মে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। ই এম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে একমো সাপোর্টও দিতে হয়েছিল। কৃষ্ণার অসুস্থতার খবর নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তার আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও যান হাসপাতালে। কৃষ্ণার খবর নিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষও হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বিধায়ক মুকুলের স্ত্রী-র অসুস্থতা ও তাঁর খোঁজ নেওয়া নিয়ে বাংলার রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছিল দিন কয়েক আগেও।
Find out more: