সারা সপ্তাহ জুড়ে কাজ আর কাজ। আবার করোনার কারণে ওয়ার্ক ফ্রম হোম হলে আরও কাজের চাপ। এদিকে অফিসের চাপে গার্ল ফ্রেন্ড আর বয় ফ্রেন্ডের প্রেম করার টাইম নেই। কারোর তো প্রেম চলে যায়, চলে যায় অবস্থা। বাড়িতে যে গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে সুস্থির হয়ে বসে কথা বলবেন দু’দন্ড—সে গুড়েও বালি! আর বাড়িতে সক্কলের সামনে বসে সারাক্ষণ ধরে ফোনে গদগদ প্রেমের কথা বলা একদম ভালো দেখায় না! তাছাড়া বাবা-মা’ই বা বলবেন কি! আরে এতো চিন্তার কী আছে ? করোনা মহামারী বিদায় নিলে উইকএন্ডে দিব্যি সুন্দর একটা প্ল্যান করলেন প্রেম করার,মনে লাড্ডুও ফোটাতে লাগলেন সেই ভেবে যে,উফফ! ক’দ্দিন পর চুটিয়ে প্রেমটা করবেন—শুধু আপনি আর আপনার ‘সে’।কিন্তু হায় পোড়া কপাল!নিরিবিলিতে বসে কথা বলবেন কি! লোকজনের ক্যালোর-ব্যালোরে শান্তিতে কথাই বলতে পারলেন না! তাই শহরের সেরা প্রেম করার জায়গাগুলো জেনে নিন-
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল : প্রেম করছেন খাস কলকাতায় বসে,অথচ একবারও ভিক্টোরিয়া যাননি,এ হতেই পারে না!ভাবুন তো,গাছপালা আর অমন একটা রাজকীয় আর্কিটেকচারের কাছে এলে মনটা এমনিতেই রোম্যান্টিক হয়ে যায়।আর সাথে যদি মিষ্টি গার্লফ্রেন্ড থাকে,তাহলে তো কথাই নেই।হেঁটে বেড়ান খানিক,তারপর পছন্দ মতো একটা নিরিবিলি জায়গায় বসে যত রাজ্যের জমানো প্রেম ছিল,সব একদিনে করে ফেলুন।তবে হ্যাঁ,ভিক্টোরিয়া বলেই বলছি,মনে রাখবেন,ওখানে তো আপনি একা প্রেম করতে যাননি,চারপাশে তাকিয়ে দেখুন,অনেক কাচ্চা-বাচ্ছাকেও পাবেন তাদের পরিবার সমেত। তাই বুঝে কাজ করুন।
প্রিন্সেপ ঘাট : একে গঙ্গা,তায় প্রিন্সেপ ঘাট। আর গঙ্গার ঘাটে বসে প্রেম করার মজা যে না বুঝেছে,তাকে বোঝানো বেকার!ভাবুন তো,ভরা বিকেল গড়িয়ে আস্তে আস্তে সূর্যাস্ত হচ্ছে,চারপাশে পাখির ডাক শুনতে পাচ্ছেন,সামনে গঙ্গা, পড়ন্ত সূর্যের আলোয় চকচক করছে,আর এই বিউটিফুল ফটোজেনিক ফ্রেমে আপনি আর তিনি!একা!চোখে চোখ,হাতে হাত,নিরালায়।যত খুশি কথা বলুন,আর যত খুশি কাছে আসুন।কেউ কিচ্ছুটি বলবে না।তবে হ্যাঁ, জায়গাটা এমনিতেই খুব শুনশান।গাড়ি-ঘোড়ার কিন্তু বড্ড অভাব।আর ফোনের টাওয়ারও ঠিক থাকে না।তাই সাবধানে থাকবেন।আর যত রোমান্সই প্রাণে জাগুক না কেন,সন্ধের পর প্রিন্সেপ ঘাটে কিন্তু খবরদার না!
মোহরকুঞ্জ : নির্ঝঞ্জাটে প্রেম করার আদর্শ জায়গা মোহরকুঞ্জ। এই পার্কটিরও নতুন করে সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। একেবারের নতুন ঝকঝকে চেহারা পার্কের। খুবই নিরিবিলি পরিবেশ। রবীন্দ্রসদনের উলটো দিকেই এই পার্ক। কাছাকাছি রয়েছে মেট্রোস্টেশন। পার্কটি দুপুর ১২টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বসার যেমন সুব্যবস্থা আছে। পার্কের মাঝে মাঝে একটি করে গম্ভুজ আকৃতির মনুমেন্ট আছে। এই মনুমেন্টের ভিতর বসে প্রেম করা যাবে। তেমনই এই পার্কের ভিতরটি বড় হওয়ায় বসারও অনেক জায়গা আছে।
লেকগার্ডেন্স : আপনি যদি ফিটনেস ফ্রিক হন,তাহলে আপনার বেস্ট চয়েস হতে পারে রবীন্দ্র সরোবর।কিন্তু আপনি যদি রোমান্স ফ্রিক হন?তাহলেও কিন্তু আপনার জন্য বেস্ট অপশন হতে পারে রবীন্দ্র সরোবর!খাস কলকাতা শহরের বুকে যে এমন টলটলে জলওয়ালা ‘লেক’ এক্সিস্ট করতে পারে,তা আপনি এখানে না এলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না।জলের দিকে তাকিয়ে পাখি আর প্রকৃতি দেখতে দেখতে যত ইচ্ছে প্রেম করুন।কেউ ডিস্টার্ব করার নেই।তবে সন্ধে হয়ে গেলে অ্যাভয়েড করাই ভালো।
Find out more: