সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমতেই বিভিন্ন রাজ্য কোভিডবিধি শিথিল করার পথে হাঁটতে শুরু করেছে। দৈনিক সংক্রমণ কমে আসা পরিতৃপ্তির বিষয় হলেও এখনই আত্মতুষ্টিতে ভুগলে হবে না। খুবই সচেতন এবং সতর্ক হয়ে সমস্ত পদক্ষেপ করতে হবে, নির্দেশিকা জারি করে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লা। করোনা মোকাবিলার সমস্ত নিয়মবিধি আগামী ৩১ অগস্ট চলবে— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করে তা জানিয়ে দেওয়া হল। প্রয়োজনে, কড়া পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। সামনেই পুজোর মরসুম। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে যাতে পূর্বনির্ধারিত ‘পরীক্ষা-চিহ্নিতকরণ-চিকিৎসা-টিকাকরণ-কোভিডবিধি’— এই পাঁচ-স্তরীয় নীতি মেনে চলা হয়, তারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, গতকালের চেয়ে রাজ্যে বাড়ল মৃতের সংখ্যাও। বুধবার ১০ থেকে তা বেড়ে হল ১৪। শুধু তাই নয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ফের একশো ছাড়াল দৈনিক কোভিড আক্রান্ত। গত ৬ জুলাই নেমেছিল একশোর নীচে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন (West Bengal Heath Department) অনুযায়ী, বুধবার সংক্রমিতের সংখ্যা ৮১৫। গতকাল সংক্রামিত হয়েছিলেন ৬৬২ জন। এ দিন নমুনা যাচাই করা হয়েছে ৪৫ হাজার ১১২ জনের। সংক্রমণ হার ১.৮১%। কলকাতায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৮১। ১১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনায়। সেই ৬ জুলাইয়ের পর ফের একশোর উপরে উঠল দৈনিক সংক্রমণ। হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৯, ৪৫ ও ৮০।  উত্তরের ৩ জেলা- কোচবিহার, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িতে সংক্রমিতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৯, ৬২ ও ৪২। পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৫৯ ও ৩৮ জন। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ১১ হাজার ৩৭০ জন।

Find out more: