এবার থেকে দেশের আটটি রাজ্যের ১৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পাঁচ আঞ্চলিক ভাষায় পড়ার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। এই আঞ্চলিক ভাষার তালিকায় রয়েছে বাংলাও। অর্থাৎ এর পর থেকে বাংলাতেও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে। এর জন্য বিশেষ অনুবাদের ‘টুল’ তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা শুরু হলে দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের সবচেয়ে সুবিধা হবে। কারণ, তাঁদের জীবনে ভাষা সবসময় বাধা হয়ে দাঁড়াত। আঞ্চলিক ভাষায় কারিগরি শিক্ষা চালু হলে তাঁরা আরও সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে।’’ এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেকেই একটি কোর্সে ভর্তি হওয়ার পর ভাবেন, তিনি বোধহয় ভুল করে ফেলেছেন। কিন্তু এ বার থেকে তা আর হবে না। কোর্সের মধ্যে যদি মনে হয় কোর্সটি ঠিক নয়, তা হলে সেটি বদলাতে পারবেন পড়ুয়া।’’ একেই পরিভাষায় বলা হচ্ছে অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অব ক্রেডিট।

পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ‘নিষ্ঠা ২.০’ নামে একটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, ‘সাংকেতিক ভাষা (সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ)’, দেশের বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াদের আজ প্রয়োজন পড়ে। সেটিকেও একটি পৃথক ভাষার মর্যাদা দেওয়া হবে। মোদী বলেন, ‘‘এর ফলে দেশের বহু বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়ার উপকার হবে।’’

অন্যদিকে, মেডিক্যাল (Medical) শিক্ষায় ব্যাপক সংরক্ষণের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। মেডিক্যাল শিক্ষায় ওবিসিদের জন্য ২৭ শতাংশ এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সংরক্ষণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। মেডিক্যাল ও ডেন্টাল চিকিৎসায় স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তরে এমবিবিএস, এমডি, এমএস, ডিপ্লোমা, বিডিএস ও এমডিএসের ক্ষেত্রে এই সংরক্ষণ প্রযোজ্য হবে। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হবে, বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

Find out more: