বুধবার রাজ্যসভায় অধিবেশন শুরু হতেই তৃণমূল-সহ বিরোধী দলের সাংসদরা ওয়েলে নেমে আসেন। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে পেগাসাস কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু তাঁদের নিজ নিজ জায়গায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু সেই অনুরোধে তাঁরা কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। তার পরই অধিবেশন বানচালের অভিযোগ তুলে এক দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় তৃণমূলের ছয় সাংসদকে। একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হল দোলা সেন, নাদিমূল হক, অর্পিতা ঘোষ, মৌসম বেনজির নূর, শান্ত ছেত্রী এবং আবির রঞ্জন বিশ্বাসকে। তাঁদের সাসপেন্ড করলেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ড়ু। এর আগে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে গোটা বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। Prgasus ইস্য়ুতে রাজ্যসভায় বিবৃতি দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বিষ্ণুর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নেন শান্তনু সেন। কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দেন। শাস্তি স্বরূপ গোটা বাদল অধিবেশনে তাঁকে বরখাস্ত করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ড়ু। এই ইস্য়ুতেও সরব হয় তৃণমূল।

মঙ্গলবারই এই ঘঠনার উল্লেখ করে বিরোধীদের তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী।  বিরোধীদের বিক্ষোভ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'এটা সংবিধানের অবমাননা, গণতন্ত্রের অবমাননা এবং সাধারণ মানুষের অবমাননা। বিরোধীরা তাঁদের ব্যবহারে সংসদের উভয় কক্ষকেই অসম্মানিত করেছেন। কেউ কাগজ কেড়ে ছিঁড়ে ফেলছেন, কিন্তু নিজের কৃতকর্মের জন্য তাঁর একটুও লজ্জিত নন'। আর এদিনের ঘটনায় সাংসদদের সাসপেন্ড করার পরই টুইট করেন সাংসদ ডেরেক ’ও ব্রায়েন। টুইটে তিনি জানান, দুপুর ২টোর সময় এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন বিরোধী দলের সাংসদরা।

Find out more: